চবিতে পিস্তলসহ সাবেক শিক্ষার্থী আটক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল থেকে পিস্তল নিয়ে বের হওয়ার সময় এক যুবককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ওই যুবককে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।

ওই যুবক নিজের নাম দাউদ সালমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় চবির এফ রহমান হলের সামনে থেকে একটি লোডেড পিস্তলসহ তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার কাছে গাঁজা, সায়েদ ফুল মধু নামে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর নম্বরপত্র পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চবি সমন্বয়ক ইবরাহীম রনি বলেন, দাউদ সালমান সার্টিফিকেট ও মার্কসিট নেওয়ার কথা বলে হলে প্রবেশ করার জন্য আমাকে ফোন দেন। আমি বলি, আপনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। আমরা আসলে আমাদের কাউকে সঙ্গে নিয়ে হলে ঢুকবেন। কিন্তু তিনি কথা না শুনে দায়িত্বরত প্রহরীকে ধাক্কা দিয়ে জোরপূর্বক হলে প্রবেশ করে। এরপর তিনি যখন তার জিনিসপত্র নিয়ে হল থেকে বের হন, ততক্ষণে আমরা হলের সামনে চলে আসি। তার কাছে থাকা জিনিসপত্র চেক করার সময় আমরা লোড করা পিস্তলসহ কিছু গাঁজা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আটক করার সময় তিনি আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা করেন। আমাদের সব সমন্বয়কের জীবন এখন হুমকির মুখে। উপাচার্য ও উপউপাচার্যদের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে এসব হচ্ছে। আমরা অনেকদিন ধরে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি। তারা পদত্যাগ না করে উল্টো সন্ত্রাসীদের দিয়ে এসব করাচ্ছেন বলে আমি মনে করি।

দাউদ সালমান এএফ রহমান হলের ৪১৫ নাম্বার কক্ষ থেকে এসব নিয়ে বের হন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি। তারা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে দাউদ সালমানকে তাদের হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, চবি শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ সালমান এক সময় ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। বর্তমানে তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলেও জানান শিক্ষার্থীদের।