কুয়েট-খুবি-পাবিপ্রবি প্রশাসনে পদত্যাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) এসব কর্তাব্যক্তিরা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জানা গেছে, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া সোমবার চ্যান্সেলর বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। ড. মিহির রঞ্জন হালদার ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন
কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার তার পদত্যাগপত্রে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্য পদের দায়িত্ব থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য এবং পূর্ণকালীন/ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ দায়িত্ব পালন করবেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সোবহান মিয়া তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে যোগদান করি। এখন আমার শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত কারণে উপ-উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি।
এছাড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন এবং সাতজন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক রোববার (১১ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন। খুবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস সোমবার (১২ আগস্ট) জানান, তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিগগিরই এসব পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অপরদিকে, শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক এবং শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনাস্থাজনিত কারণ দেখিয়ে রোববার (১১ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তৌহিদুজ্জামান। তিনি সহকারী অধ্যাপক রোজিনা আক্তারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
এদিকে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্উদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। সোমবার দুপুরে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রক্ষ্ম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজনেই পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ উল্লেখ করেছেন তারা। এর বেশিকিছু বলা সম্ভব নয়।
/নুরুজ্জামান/শাহীন/মেহেদী/