অব্যাহতি পাওয়া নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জসীম উদ্দিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এদিকে, এই বিপুল পারিমাণ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি আয় করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়কেরা।
অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জসীম উদ্দিন বলেন, আমার যাবতীয় ব্যাংকিং লেনদেন রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পাদন করি। এর বাইরে অন্য কোনো ব্যাংকে আমার কোনো হিসাব নেই। অগ্রণী ব্যাংকের ওই অ্যাকাউন্টে বর্তমানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। অতীতের কোন সময়ে ওই হিসাবে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ছিল না। বেতন-ভাতার বাইরে সেখানে আমার প্রবাসী ভাইয়ের পাঠানো রেমিট্যান্স ও আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় একটি মসজিদের কিছু দান-অনুদানের টাকা লেনদেন হয়। সেটাও উত্থাপিত অভিযোগের মতো এত বড় অঙ্কের নয়। সমন্বয়করা চাইলে আমার ব্যাংক হিসাবের বিবরণী দেখাতে রাজি আছি।
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অসত্য দাবি করে তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে গত বছর ২৮ নভেম্বর নিয়োগ পায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদিত হয়নি। তারপরও আমার বিষয়ে সমন্বয়কদের উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাষ্ট্রের যে কোনো কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানাই। আমি কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। গত ১ আগস্ট রাতে অফিসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে একটি চিঠি ইস্যু করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করি।
অব্যাহতির বিষয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ব্যক্তিসহ বেশকিছু নম্বর থেকে ফোন করে আমাকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে ইস্তফা দিতে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের ফলে উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহিত প্রদানের অনুরোধ জানাই। সে আলোকে তিনি অব্যাহতি প্রদান করেছেন। আমি আশঙ্কা করছি, ওই স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার পর নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তারা নানাভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জসীম উদ্দিনকে অব্যাহতির বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার তামজীদ হোসাইন চৌধুরীকে ‘ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার’ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম।
/ফাহিম/মেহেদী/