কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জবি শিক্ষার্থী সাজিদের জানাজা সম্পন্ন
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদের নামাজে জানাজা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটাই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার রাত পৌনে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত এ শিক্ষার্থীর নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে সাজিদের মৃত্যুর পর প্রথম নামাজে জানাজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সবার সম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঠিক করা হয়। জবির প্রায় সব শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের বাসযোগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জানাজার উদ্দেশ্য রওনা দেন।
জানাজা নামাজের আগে দেওয়া বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহিনুর ইসলাম বলেন, সাজিদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি করছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ সরকারের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ইভান তওসিভ আরেক সমন্বয়ক বলেন, আমার ভাইয়ের রক্তে বৃথা যেতে দেব না। অনেক মৃত্যর পর হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর পরেও বিজয়ের এই সময়ে আমাদের ভাইকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিল বলেন, এই খুনি হাসিনার জন্য আমাদের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র ঝরে গেল। আমরা এর বিচার চাই। হাসিনার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এই হত্যার জন্য একমাত্র হাসিনাই দায়ী।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে আহত জবির সাজিদ আর নেই
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, সাজিদের মৃত্যু বেদনাদায়ক। তার বাবা-মা-বোনের কান্না অনবরত চলছেই। তার সঙ্গে সব শিক্ষার্থীর কান্না দেখে মনে হচ্ছে যেন তাদের পরিবারের ভাই মারা গেছে।
তিনি বলেন, সাজিদ যে জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তা যেন বৃথা না যায়। আল্লাহ তার পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাজিদের সহপাঠী ফাইয়াজ বলেন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাজিদের নামাজে জানাযা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাসা টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাদ ফজর দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
/লিমন/মেহেদী/