ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সংকটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
সাইফুল ইসলাম, ববি || রাইজিংবিডি.কম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে (ববি) কেন্দ্র করে এর চারপাশে গড়ে উঠেছে শত শত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় বন্ধ ক্যাম্পাসে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ববি প্রশাসন ক্যাম্পাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে অনেক আগেই। ক্যাম্পাস ও তার আশপাশের বেশিরভাগ দোকান খুলে পসরা সাঁজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও ঠিকমতো ক্লাস শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তাদের অনেকাংশই বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ফলে দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে খাবারের দোকান ও প্রধান ফটকের সামনের কম্পিউটার দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম একেবারেই নেই। তবে দোকানিরা আশা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যেই ক্যাম্পাস তার নিজ রুপে ফিরে আসবে এবং ব্যবসায় ক্ষতি পূষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
চা বিক্রেতা রিপন বলেন, আমি বিকেলের দিকে দোকান খুলি আর রাত ১-২টা পর্যন্ত খোলা রাখি। তাতে আমার দোকানে দৈনিক আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। কিন্তু ভার্সিটি খোলা না থাকলে সেটা তিন ভাগের এক ভাগও হয় না। মামারা না থাকলে বিক্রি করবো কাদের কাছে। ভার্সিটি বন্ধ থাকলে বিক্রি না হওয়ায় অনেক সময় দোকানও বন্ধ করে রাখতে হয়। এলাকার মানুষ যারা আছে তারা খেয়ে অনেক সময় বাকি রাখে, তাতে আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মুদি দোকানদার কবির বলেন, আমার দোকান থেকে নিয়মিত ৩-৪টা খাবারের দোকানে মালামাল দিই। ভার্সিটি বন্ধ থাকলে খাবারের দোকানও বন্ধ থাকে, তাই সেখানের ব্যবসাটা হয় না। ভার্সিটি খোলা থাকলে দৈনিক ১৩-১৪ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। তবে বন্ধ থাকলে দোকান ভাড়া দিতেও কষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে স্থানীয় লোকজনও কমে যায়। ফলে ব্যবসা হয় না বললেই চলে। আমাদের ব্যবসা মূলত ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্ভর করে।
ভার্সিটির মেইন গেটের সামনের এক কম্পিউটার দোকানদার বলেন, ভার্সিটি বন্ধ তো ব্যবসাও বন্ধ। এখানে প্রিন্ট বা ফটোকপি করতে ভার্সিটির ছাত্রছাত্রী ছাড়া অন্য কেউ আসে না। তাই ভার্সিটি বন্ধ থাকলে দোকানও বন্ধ রাখি। আর এই দোকানই আমার ইনকামের একমাত্র উৎস। ফলে ওই সময় বাসায় বেকার বসে থাকতে হয়। কোরবানির ইদের পর থেকে আন্দোলনের কারণে তেমন কোনো ব্যবসাই হয়নি।
/মেহেদী/