ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

ক্ষমা চাওয়ার পরেও উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চান ববি শিক্ষার্থীরা

ববি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৯:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০২৪
ক্ষমা চাওয়ার পরেও উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চান ববি শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন তারা। সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১টায় ক্যাম্পাসের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে সমাবেশ করে তারা এ দাবি জানান।

এর আগে, শনিবার (১৭ আগস্ট) এক আলোচনা সভার মাধ্যমে ববির বর্তমান উপাচার্য ও প্রক্টর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সশরীরে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে না পারার কারণে এবং তাদের ভুলের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২টি শর্তের মাধ্যমে তারা স্বপদে বহাল থাকেন।

এদিকে, আলোচনা সভার পর থেকে সেটা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুকভিত্তিক ‘লিংকার্স’ নামক গ্রুপে অনেক শিক্ষার্থী এ আলোচনা সম্পর্কে জানতেন না বলে অভিযোগ করেন। এরই পেক্ষিতে সাধারণত শিক্ষার্থীদের একাংশ পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেন।

এদিন গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য বাংলোতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে সমাবেশে মিলিত হন তারা। এ সময় উপাচার্য ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান উপাচার্য ও প্রক্টর ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ থাকলেও সবসময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তাঁবেদারি করায় কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হননি তারা। যতদিন শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে তারা চেপে থাকবে, ততদিন সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন না। 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো চলতো বরিশাল সিটি করপোরেশন সাবেক দুই মেয়রের কথায়, আবার কখনো চলতো সদর সাংসদের কথায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-প্রক্টরসহ অনেক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় বেশি দেখা যেত। এসব বিষয় কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেননি। তাদের দুজনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় অন্যদের মাঝে আইন বিভাগের সিরাজুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের মো. সিহাব, ইংরেজি বিভাগের মিজানুর রহমান মিজান, ইতিহাস বিভাগের মোশারফ হোসেন, বাংলা বিভাগের মো. আশিক আহমেদ প্রমুখ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

সমাবেশ শেষে আবারও মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

/সাইফুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়