ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১২, ২২ আগস্ট ২০২৪  
অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর প্রশাসনশূন্য হতে থাকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। এতে কার্যত ভেঙে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো। প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে সব কার্যক্রম।

পদত্যাগকৃত প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে হামলা ও গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে গত ১০ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে পদত্যাগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী (প্রশাসন), অধ্যাপক বেনু কুমার দে (অ্যাকাডেমিক), প্রক্টরিয়াল বডি, আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী, প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম।

এর মধ্যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোববার (১৮ আগস্ট) সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনিক দায়িত্বে কেউ না থাকায় খোলেনি চবি। দাপ্তরিক কার্যক্রম আংশিক শুরু হলেও প্রশাসন না থাকায় সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনও বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিল ও শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ফলে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় স্থবিরতা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে। এছাড়া গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫২তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলগুলোর সিট বরাদ্দ কার্যক্রম এবং গত ১৯ আগস্ট থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বড় বড় দায়িত্বশীল কেউই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে হলে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা উপাচার্য ছাড়া সম্ভব না। উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস সচল করা অসম্ভব। আংশিকভাবে প্রশাসনিক কাজ চললেও ব্যহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ।

/মিজান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়