ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

নোবিপ্রবিতে ১ বছরেও শেষ হয়নি প্রথম সেমিস্টার

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
নোবিপ্রবিতে ১ বছরেও শেষ হয়নি প্রথম সেমিস্টার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ওশানোগ্রাফি ও বাংলাদেশে অ্যান্ড মুক্তিযুদ্ধ স্ট্যাডিজ (বিএমএস) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তির এক বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি প্রথম সেমিস্টার। ফলে বিপাকে পড়েছেন এ দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। ভর্তির এক বছর পেরিয়ে গেলেও ওশানোগ্রাফি ও বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম সেমিস্টারের প্রথম টার্মের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ল্যাব ফাইনালসহ বেশকিছু পরীক্ষা আটকে আছে।

ওশানোগ্রাফি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সাইফ আল সাহাব বলেন, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ওশানোগ্রাফি বিভাগের সপ্তম ব্যাচ অর্থাৎ ২০২২-২৩ সেশনের ক্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রথম টার্মের সেমিস্টার পরীক্ষা এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাক্তন সভাপতি নাজমুস সাকিব খান স্যারের গাফিলতি ও দায়সারা কর্মকাণ্ডের ফলে ধাপে ধাপে সেমিস্টার পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ পেছাতে থাকে। এক পর্যায়ে পরীক্ষা পেছাতে পেছাতে এ বছর ১২ মে ধার্য করে সেমিস্টার পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আমাদের একটি ব্যবহারিক ও ফিল্ড ট্রিপ বাদে বাকি কোর্সগুলো যথাসময়ে শেষ হওয়ার পর আমাদের প্রায় তিন মাস অবসর সময় পার করতে হয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন মাস পর পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করলেও এতে ত্রুটি দেখা যায়। সেখানে আমাদের একটি কোর্স রুটিন থেকে বাদ পড়ে। ত্রুটি সংশোধন করে একটি কোর্সের পরীক্ষা ৯ জুন নেওয়া হয়। এর ফলে শেষ দুটি পরীক্ষার মাঝে প্রায় ১২ দিনের দীর্ঘ গ্যাপ থাকে। পরবর্তীতে ঈদুল আযহার ছুটি, শিক্ষকদের প্রত্যয় পেনশন স্কিম বর্জনের দাবিতে ক্লাস বর্জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। ফলে আমদের একটি ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ফিল্ড ট্রিপ বাকি রয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুইটি সেমিস্টার পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের ২০২২-২৩ সেশনের একটি সেমিস্টারও শেষ হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমএস বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভাগের ডিগ্রি পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমাদের ক্লাস এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষার রুটিন দিলেও শিক্ষক আন্দোলন ও কোটা আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরীক্ষা হয়নি। ভর্তি হওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের একটি সেমিস্টারও কমপ্লিট হয়নি।

এ বিষয়ে বিএমএস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দিব্যদ্যুতি সরকার বলেন, বিভাগের আন্দোলনের কারণে ক্লাস বন্ধ থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করার।

ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সেশনজট কমানোর জন্য। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আটকে থাকা ল্যাব পরীক্ষা খুব দ্রুতই নেওয়া হবে। সব ব্যাচের সেশনজট কমানোর জন্য সেমিস্টার মিনিমাইজ করার কথা ভাবছি। নতুন করে যাতে আর সেশনজট তৈরি না হয়, সে বিষয়টাও দেখবো।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়