ছাত্রদল পরিচয়ে পাবিপ্রবির প্রকল্পে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা

ছাত্রদল পরিচয়ে একদল যুবকের বিরুদ্ধে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) চলমান হোসাইন কন্সট্রাকশন সাইটের প্রকল্পের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্সট্রাকশন সাইটে এ ঘটনা ঘটে।

সাইটের শ্রমিকরা জানান, মাহবুব নামের এক যুবক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কন্সট্রাকশন সাইটে ঢুকে নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে ম্যানেজারের রুমে ঢুকেন এবং ম্যানেজারকে বলেন, ‘এ প্রকল্পে এখন থেকে আমরা ইট সরবরাহ করবো। যদি অন্য কেউ ইট সরবরাহ করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো ইট ঢুকতে দিব না। ক্যাম্পাসের ভেতরে ইটের কাজ বন্ধ থাকবে।’ এরপর ওই যুবক ম্যানেজারের রুম থেকে বের হয়ে দেখেন একটা ট্রাক থেকে শ্রমিকরা ইট নামাচ্ছে। তখন তিনি ম্যানাজারকে বলেন, ‘কার অনুমতি ইট ঢুকছে ক্যাম্পাসে?’ এরপর একটা মোটরসাইকেল ডেকে ম্যানাজারকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সাথে চলেন, যা হওয়ার বাইরে হবে।’

তিনি বলেন, এর কিছুক্ষণ পর ছয়জন যুবক কন্সট্রাকশন সাইটে ম্যানাজারের রুমে যান। তারাও ওই যুবকের সঙ্গে যোগ দিয়ে ম্যানেজারকে উচ্চবাচ্য করেন এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে কন্সট্রাকশন সাইটে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের কথা শুনে ওই সাত যুবক দ্রুত বের হয়ে যান।

তবে এ বিষয়ে হোসাইন কন্সট্রাকশনের ম্যানেজার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এখানে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় আছে। আপনারা কেউ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। যে বা যারা আজ এসেছে, তাদের বিষয়ে আমাদের কোম্পানি দেখবেন। আমি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে পারবো না।

কন্সট্রাকশন সাইটে যাওয়া অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১টার কাছাকাছি সময়ে আমরা শুনতে পেলাম, কন্সট্রাকশন সাইটে একদল বহিরাগত যুবক একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে প্রকল্পের কাজে বাঁধা দিতে গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ১৫-২০ জন ছাত্র হোসাইন কন্সট্ট্রাকশনের সাইটে যাই। আমরা ওখানে যাওয়া মাত্রই তারা দুটো মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত সাইট থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। 

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকে এভাবে প্রকল্পের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে, এটা কখনোই কাম্য নয়। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো অবিলম্বে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ যেন নিষিদ্ধ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক একরামুল হক লিমন এবং সদস্য সচিব সানজিদ প্রান্ত বলেন, আপনি যে নাম আমাদের বলেছেন, এ নামে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলা ছাত্রদলের কাউকে আমরা চিনি না। দল থেকে এ ধরনের কোনো কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা আছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের দলে থেকে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। যদি আমরা প্রমাণ পাই তারা বিএনপি বা ছাত্রদলের কেউ, তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।