উপাচার্যের কাছে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনে’র ২১ দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’র নেতৃবৃন্দ। তারা জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোকে অছাত্রমুক্তকরণ ও হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারসহ ২১ দফা দাবি পেশ করেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা ২১ দফা দাবি উত্থাপন করেন।  

এ সব দাবির মধ্যে অন্যতম হলো- জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন এবং আবাসিক হলগুলোকে অছাত্রমুক্ত করা;  ১৫ ও ১৭ জুলাই হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও উস্কানিদাতা শিক্ষকদের  রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের আওতায় আনা; অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লানসহ পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করা ও কোর্স মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা; পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরি, সব অফিস এবং প্রতিটি বিভাগ ও হলে অটোমেশনের আওতায় আনা;  মেডিকেলের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও লোকেশন ট্র‍্যাক করার জন্য ক্যাম্পাসের প্রতিটি এম্বুলেন্স ও বাসে জিপিএস স্থাপন করা ও মনরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ;  শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল এবং স্কলারশিপ ও থিসিসের টাকা বৃদ্ধি করা, ক্যাফেটেরিয়া ও ডাইনিংয়ে খাবারের মান ও ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং রাত ১০ টা পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখা; শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল, শ্রুতিলেখক, হল ও বিভাগের কাঠামো প্রতিবন্ধীবান্ধব করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা এবং লাইব্রেরির আর্কাইভ ও বই শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্তসহ ই-লাইব্রেরি চালু ইত্যাদি।

প্রত্নতত্ত্ব ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ্য অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, উপাচার্য প্রত্যেকটা দাবির পেছনে আমাদের চিন্তাভাবনা শুনেছেন, নোট নিয়েছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছেন। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীয়াশীল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।