ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবিতে বিক্ষোভ
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জবি শিক্ষার্থী ফোরামের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সীমানাতে হওয়া প্রত্যেকটি হত্যার বিচার করতে হবে। হত্যার শিকার প্রত্যেকের তালিকা করে তাদের পরিবারকে যেভাবেই হোক সাহায্য করতে হবে। ভারতের সঙ্গে প্রত্যেকটা চুক্তি হবে সমতার বিত্তিতে, কোনো তাবেদারি বা দালালি থাকবে না। আমরা তাদের থেকে ন্যায্য বিদেশনীতি চাই। সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। ভারতের নাগরিকদের ঠিক করতে হবে, তারা কেমন বিদেশনীতি চান।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ভারত আমাদের দেশে জালেম সরকার ক্ষমতায় বসিয়ে আমাদের সঙ্গে অসম চুক্তি করেছে। আমাদের গুজবের মধ্যে রেখে ভারত শুধু শোষণ করেছে। সীমান্তে শুধু দুটি না, হাজার হাজার মানুষ মেরেছে। যার অধিকাংশরই নিউজ হতে দেয়নি, এমনকি প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দেয়নি আমাদের সরকার।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের জন্য একটা স্পর্শকাতর জায়গা। সেখানে বিএসএফ রাস্তা নির্মাণ করছে। ভারতকে এ রকম জায়গায় সুযোগ দেওয়া উচিৎ না। এ চুক্তিও বাতিল করতে হবে। তিস্তার উপর তিনটা ড্যাম দিয়ে আমাদের পানি দেয় না। প্রত্যেক নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের দিতে হবে। ভারতের সঙ্গে হওয়া সব অসম চুক্তির পুনঃনিরীক্ষণের করে কোনগুলো রাখতে হবে, তা ঠিক করতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন পিয়াস বলেন, মোদি সরকার আমাদের বারবার পানি দিয়ে, পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে ও সীমান্তে গুলি চালিয়ে মারার চেষ্টা করছে। আমাদেরকে বিভিন্ন আগ্রাসী চুক্তি করতে বাধ্য করেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে চাটুকারিতার সম্পর্ক রেখেছে। তাদের দালালির ভুক্তভোগী আমাদের জনগণ। বিএসএফের গুলিতে ১ হাজার ৫০০ হত্যা হয়েছে। প্রতিমাসে ২-১ জন হত্যা তারা জায়েজ করে ফেলেছে। আমরা ভারতের সঙ্গে ন্যায্যতার পররাষ্ট্রনীতি চাই।
এ সময় শাহিন আলম শান, বিএম তানজিল, ইভান তাহসীব, খাদিজাতুল কুবরা প্রমুখ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
/লিমন/মেহেদী/