ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

সংস্কারমনা উপাচার্যের দাবিতে ইবিতে ছাত্র সমাবেশ

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
সংস্কারমনা উপাচার্যের দাবিতে ইবিতে ছাত্র সমাবেশ

সৎ, যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত, সংস্কারমনা ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে গিয়ে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইটের নেতৃত্বে অন্যান্য সহ সমন্বয়ক ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ‘রেকর্ড দেখে ভিসি দিন দুর্নীতির খবর নিন’, ‘ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই’, ‘ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই অবিলম্বে ভিসি চাই’, ‘সেশনজটের কবর চাই, সংস্কার মনা ভিসি চাই’, ‘সৎ ও সাহসী ভিসি চাই’, ‘ইবির আঙিনায় দুর্নীতির ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গত ১৫ বছর লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দিতে দেখেছি। আমরা ইতোমধ্যে সেই লেজুড়বৃত্তির প্রশাসন হটিয়েছি। আমরা আবারও সেই লেজুড়বৃত্তির উপাচার্য চাই না। আমরা নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ ও শিক্ষার্থীবান্ধব অ্যাকাডেমিশিয়ান উপাচার্য চাই, যিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সমানভাবে দেখবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় তার উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়েছে। তাই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে এমন উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এমন উপাচার্য চাই না- যিনি দিনে দুর্নীতি করবে, আর রাতে মাদকের আসর বসাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগকে যে রাজনীতি ও সেশনজট মুক্ত করবে, এমন উপাচার্য চাই।

তারা আরও বলেন, আমরা বিগত সময়ে উপাচার্যরা রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট হয়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন। এখনও কেউ কেউ সেই লেজুড়বৃত্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতির রেকর্ড যাদের আছে, তাদের আমরা উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাই না।

বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর অনেক উপাচার্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তারা লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে উপাচার্য হয়েছেন। তাই আমরা এমন কাউকে উপাচার্য চাই না, যাকে আবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত করার চেষ্টা করবে, এমন উপাচার্যকে নিয়োগ দেওয়া হোক। রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কারো মদদপুষ্ট হবেন না এমন কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা শ্রেণি বাণিজ্যের আখড়া হিসেবে গড়ে তুলেছিল। স্বৈরাচারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও পতন হয়েছে। এখন আবার কেউ আখড়া তৈরি করার চেষ্টা করবেন না। ছাত্রসমাজ তা মানবে না। শহিদদের রক্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

/ইদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়