ঢাকা     শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যা বললেন সমন্বয়ক আবু বাকের

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৪১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যা বললেন সমন্বয়ক আবু বাকের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদার ফেসবুকে তার অবস্থান নিশ্চিত করে পোস্ট দিয়েছেন।

এর আগে, ওই হলের শিক্ষার্থী হওয়ায় এবং তিনি হলে থাকাকালে এমন ঘটনা ঘটায় তার অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ঘটনার আগে এবং পরের চিত্র বর্ণনা করেছেন তিনি।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গতকাল “ফজলুল হক মুসলিম হল স্পোর্টস টুর্নামেন্ট”র ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছিল। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি ঢাকা মেডিকেল মোড় থেকে হলে খেলা দেখতে আসি এবং খেলার উদ্বোধনী ম্যাচের একাংশ ও দ্বিতীয় ম্যাচের একাংশের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলাম। ৭:৪০ এ  হলের বাইরে আমার আরেকটা শিডিউল থাকায় খেলার কমেন্ট্রি বক্স থেকে উঠে (আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৪০) মেহেদী হাসানের (খেলার আয়োজকদের একজন) সাথে কথা বলা অবস্থায় দেখি একজনকে (চোর সন্দেহে) হলের মেইন বিল্ডিংয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপস্থিত শিক্ষার্থী একজনকে (খেয়াল নাই) জিজ্ঞেস করায় বলে লোকটা মোবাইল চোর, দুপুরে ৬টা মোবাইল চুরি করেছে। নরমালি হলে অনেক এ রকম লোককে আগেও ধরতে দেখেছি। সাধারণত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে পুলিশে হস্তান্তর করে।”

তিনি আরও বলেন, ‘আমার যেহেতু একটা শিডিউল আগে থেকেই ছিল, তাই জুনিয়রকে বাইকের চাবি দিতে বলি। সে নিজে আমাকে দিয়ে আসার কথা বললে প্রায় একই সময়ে তাকে নিয়ে আমি আমার গন্তব্যে যাই। মোটামুটি ২-৩ মিনিটের মধ্যেই আমি হল ছেড়ে কাজে যাই। পরবর্তীতে হলে ফিরতে ফিরতে বাজে প্রায় ১২টা ১৫ মিনিট। হলে ফেরার বেশ কিছুক্ষণ পর (সময় সঠিক মনে নেই) দুজন জুনিয়র (চেহারা চিনলেও নাম জানি না) এসে চোর সন্দেহে আটক করা লোকটা মারা যায় বলে জানায় এবং তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিইউ নিউজ নামে একটা অনলাইন পোর্টালে এ সংক্রান্ত নিউজ দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হই। সাথে সাথেই সম্ভাব্য জড়িত কারা এ বিষয়ে তথ্য নেওয়া শুরু করি এবং ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাই। পরবর্তীতে একজন এসে জানায়, কে যেন হলের মুক্ত মঞ্চে সবাইকে ডেকেছে। মুক্ত মঞ্চে না গিয়েই আমারা উপস্থিত কয়েকজন আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেই বিক্ষোভ মিছিলের।’

এ সমন্বয়ক বলেন, ‘শুরুতেই হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংএর সামনে আমরা স্লোগান দেওয়া শুরু করি। বেশ কিছুক্ষণ এখানে স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের নিচে নামিয়ে পরবর্তীতে মেইন বিল্ডিংয়ে মিছিল নিয়ে যাই ও ভিতরে প্রদক্ষিণ করি। পরবর্তীতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসি, ভিসি চত্ত্বর ঘুরে আবারো টিএসসি এসে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ করি। প্রোগ্রাম শেষে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে যাই। সেখানে প্রক্টর স্যার আসেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে হলে এসে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে যাচ্ছি।’

/রনি/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়