ঢাকা     শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কুবি সমন্বয়কদের নিয়ে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কুবি সমন্বয়কদের নিয়ে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সমন্বয়কদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সিএনজি ও আটো চালকরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় কোটবাড়ি এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মার্কেটে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

অভিযুক্ত ফয়সাল কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মার্কেট সংলগ্ন রেড অনিয়ন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক। তার বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের মারধর ও  ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ৫০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, মো. ফয়সাল আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালকদের রশিদ দিয়ে তিনি চাঁদা আদায় করে আসছিলেন।  আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তিনি চাঁদাবাজি করা বন্ধ করেননি। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ি প্রতিদিন বাস চালকদের কাছ থেকে ২৯০টাকা, পিকআপ চালকদের কাছ থেকে ৬০ টাকা, সিএনজি চালকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা ও অটো চালকদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছিলেন।

এর প্রতিবাদে বুধবার রাতে রেড অনিয়ন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে সিএনজি, অটো চালকরা জড়ো হয়ে সমন্বয়কদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সোহেল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

সিএনজি চালক আবুল কালাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার দুই ছেলে সিএনজি চালায়। আমি কইসি আমার কাছে টাকা নাই। এই ফয়সাল মাইকে ঘোষণা দিয়া সবার কাছ থেকে টাকা নিসে। আমার কাছ থেকে জোর কইরা টাকা নিসে। এক স্বৈরাচার চলে গেসে, কিন্তু আরেক স্বৈরাচার থাইক্যা গেসে।

আটো চালক কামাল মিয়া বলেন, ১৬ বছর ধরে আমরা জিবি (চাঁদা) দিতে দিতে শেষ। আমরা আর জিবি দিতে চাই না। প্রতিটা জায়গায় জায়গায় আমাদের চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

এ নিয়ে কুবির অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, সিএনজি-অটোচালকদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার খবর শুনতে পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। রেডি অনিয়নের মালিক ফয়সাল গাড়ি চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা তুলছিলেন। এ এলাকায় এখন থেকে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।

/এমদাদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়