ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

জাবিতে হত্যা: ৮ জনকে আসামি করে মামলা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
জাবিতে হত্যা: ৮ জনকে আসামি করে মামলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে জাবি ছাত্র নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন-সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের রাজু আহাম্মদ, ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের জুবায়ের আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের হামিদুল্লাহ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনলজি অ্যান্ড জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের আহসান লাবিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জন।

এর আগে, মামলায় আসামি করা ওই ৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা প্রান্তিক গেটে এলে কয়েকজন তাকে মারধর করতে থাকে। খবর জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।

প্রক্টর অফিসের একটি কক্ষে শামীমকে রেখে প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আশুলিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য দ্রুত পুলিশ টিমকে প্রক্টর অফিসে পাঠানোর অনুরোধ করেন।

ওই সময়ে আরও কয়েকজন প্রক্টরিয়াল টিমকে না জানিয়ে জোর করে শামীম মোল্লাকে প্রক্টর অফিসের পাশে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যায়। প্রক্টর জানতে পেরে নিরাপত্তা অফিসে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন এবং নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে দেন।

এর মধ্যে আবার উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে শামীম মোল্লাকে মারধর করে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। তারা জানায়, শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে।

রাত ৮টার দিকে প্রক্টরিয়াল টিম ও নিরাপত্তা শাখা শামীম মোল্লাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়। তাকে আশুলিয়া থানায় নেওয়ার পথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শামীম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।

/সাব্বির/সাইফ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়