ঢাকা     শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৬ ১৪৩১

পোকায় খেয়েছে রাবি শিক্ষার্থীদের মার্কশীট

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
পোকায় খেয়েছে রাবি শিক্ষার্থীদের মার্কশীট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় জমা দিতে হয় এসএসসি ও এইচএসসি’র মূল মার্কশিট। সেগুলো সংরক্ষণ করার দায়িত্বে থাকে বিভাগগুলো। তবে সেগুলো সংরক্ষণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর মার্কশিট খেয়ে ফেলেছে পোকায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী তার মার্কসিট তুলতে গিয়ে দেখেন সবগুলো পোকায় খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থীর এ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এ অবস্থায় দেখতে পান তিনি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভাগ আমাদের শিক্ষাজীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। এটা অবশ্যই অপেশাদার ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইত্তেহাদুল ইসলাম প্রণুত বলেন, ডকুমেন্টসগুরো পোকায় কাটার পিছনে মূলত অফিসের স্টাফদেরই গাফিলতি ছিল। তারা অযুহাত দিচ্ছেন, তিন মাস বিভাগ বন্ধ ছিল বলে এ অবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাগজপত্রগুলো বিভাগের অফিসের ফ্লোরে পড়ে ছিল। এজন্য সহজেই পোকা কেটে নিছে। তারা এটা উঠিয়ে নিতে বলেছিল আমাদের ৩-৪ মাস আগে। এখন তারা এটা বলারও চেষ্টা করছে, আমরা ডকুমেন্টস ফেরত নিতে বলেছি। আপনারা নেন নাই, এ ক্ষেত্রে আপনাদের দোষ। সোজা বাংলায় ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক শিক্ষার্থী বলেন, কোনো জবাবদিহিতা নেই। একের পর এক ঘটনা ঘটে গেছে। আওয়ামীপন্থী শিক্ষক লিটন হোসেন সরাসরি শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষমতা চর্চা করতেন, হুমকি ধামকি দিতেন। জবি উপাচার্য সাদেকা হালিমের ক্ষমতা দেখাতেন সবক্ষেত্রে। এমনকি আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী রবিউল আলম শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আটকিয়ে ওনাকে বাচিয়ে দেন। কিন্তু সেসসময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর প্রাতিষ্ঠানিক রেজাল্ট খারাপ করিয়ে দেওয়া, হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে সব করেছেন।  কিন্তু শেষমেষ ডিপার্টমেন্ট প্রায় ২০-৩০ জন শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ধ্বংস করে ফেললো। এজন্যেই কি আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী রবিউল আলম বলেন, এটা জানার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের মার্কসিটের ফটোকপি নেই, তাদের বিভাগ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছি। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্তের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। কারণ অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির কিছুদিন পরে বিভাগে কাগজপত্রগুলো আসলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়, যেন তারা সেগুলো তুলে নেয়। অনেকে তুলে নিলেও কিছু সংখ্যা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদেরও গাফিলতি আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়