ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

নবীনদের বরণ করে নিলো রাবি

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
নবীনদের বরণ করে নিলো রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২৩-২০২৪ সেশনের অরিন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরিন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন, বিভাগগুলোর শিক্ষকগণ নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর নবীন শিক্ষার্থীরা একে একে তাদের পরিচয় দেন। শিক্ষকরা তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে এবং কে কি করতে পছন্দ করেন, তা জানতে চান। এছাড়া ছিল নানা আয়োজন ।

এদিকে, নবীনদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মতিহারের সবুজ গালিচা। নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দে আপ্লুত। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন সিনিয়ররা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষার্থীরা নবীনদের গানের সূরে বরণ করে নেন।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, এক আকাশ পরিমাণ আবেগের নাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ কাঙ্ক্ষিত চূড়ায় ক’জনই-বা পা রাখতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি পেরেছি। তবে পাওয়ার পর থেকেই যেন ক্লাসে যাওয়ার আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আজ ক্লাস শুরু মাধ্যমে অসম্ভব ভালো ও আবেগঘন অনুভূতির পূর্ণতা পেল।

সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোছা. নুসরাত জাহান (নুরী) বলেন, আমার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। আমি আমার কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের কারণে আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিদ্যাপীঠে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আজ আসলেই একজন রাবিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতে ভালো লাগছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ এবং শিক্ষাব্যবস্থা আমাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে সাহায্য করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া রাফাসান আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্ৰহ তৈরি হয় সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে। এক যুগ পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনেকটা যুদ্ধময় পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাই আনন্দটাও ছিল অনেক বেশি।

তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ক্যাম্পাস ভাবতে পারার অনুভূতিটা বলে বোঝাতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটা বুঝতে পারি যখন বড় ভাইয়া আপুদের সঙ্গে আলাপ হয়। তাদের থেকেই পথ-নির্দেশনা নিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই, শিখতে চাই কীভাবে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হয়।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়