ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

সিকৃবির ক্যান্টিনে খাবারের উচ্চমূল্য নেওয়ার অভিযোগ

সিকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৪১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিকৃবির ক্যান্টিনে খাবারের উচ্চমূল্য নেওয়ার অভিযোগ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ক্যান্টিনের খাবারের দাম ও মান নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দোহাই দিয়ে কয়েক দফায় দাম বাড়লেও বাড়েনি খাবারের মান। এছাড়াও বাসি খাবার পরিবেশন, মূল্য তালিকা না টাঙানোর অভিযোগ রয়েছে ক্যান্টিন পরিচালকদের‌ বিরুদ্ধে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের দিকে ৫০ টাকায় মুরগি ও মাছ দিতে ভাত-ডাল পাওয়া যেত। পরবর্তীতে মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধির কথা বলে দুই দফায় খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করে ৬০ টাকা করা হয়। তবে খাবারের মানে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে মুরগির মাংসের দাম কমলেও খাবারের দাম আগের মতোই আছে। এছাড়াও মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে খাবারের দাম নিজেদের ইচ্ছামত মতো বাড়িয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রতিবাদী পোস্টে দিতে দেখা গেছে। 

সিকৃবিয়ান কমনরুম নামক ফেসবুক গ্রুপে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ভার্সিটির বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন পেয়েও সিকৃবি ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম অনেক বেশি। যখন মুরগির দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল, তখন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হয়। এখন মুরগির দাম কমেছে, কিন্তু খাবারের দাম কমানোর কোনো নাম গন্ধ নেই। একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে এরা। এতোই যখন দাম রাখবে সব কিছুর, তাহলে ভার্সিটি সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া হয়ে কি লাভ?

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের ক্যান্টিনে খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। এ দামে বাইরের দোকানগুলোতে আরও ভালো খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে কখনও কখনও বাসি খাবার দেওয়া হয়। অনেকে বিভিন্ন সময় পোকামাকড়ও পেয়েছে খাবারে। এখন ছাত্রলীগ না থাকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে খাবারের দাম কমানো হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও উচিৎ, খাবারের মূল্য কমানো ও মান বাড়ানোর ব্যাপারে নজর দেওয়া।

এ বিষয়ে ক্যান্টিনের পরিচালক শাহীন পঁচা-বাসি খাবার পরিবেশনের কথা অস্বীকার করে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে মূল্য তালিকা দিয়ে দিবো।

খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধির ব্যাপারে সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড.এমদাদুল হক জানান, এ বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

/রায়হান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়