ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

জাবির ইনস্টিটিউট থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ প্রত্যাহার দাবি

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
জাবির ইনস্টিটিউট থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ প্রত্যাহার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের নাম সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে উত্থাপিত তাদের দাবিগুলো হলো- ইনস্টিটিউটের নাম সংস্কার করে শুধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ও ইংরেজিতে Institute of Comparative Literature and Culture করতে হবে, অনতিবিলম্বে ইনস্টিটিউটকে বিসিএস বিষয় কোডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং অতিদ্রুত ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

এ সময় ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহান শরীফ বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ আছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির নামে কোথাও নেই। শুধু আমাদের বিভাগের নাম ব্যক্তির নাম দিয়ে।  আমরা এর সংস্থার চাই।

৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মেহরাব সিফাত বলেন, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য একটি ডিসিপ্লিন। বাংলাদেশে একমাত্র জাবিতেই এ ডিসিপ্লিন রয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে এ ইনস্টিটিউট বঞ্চিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা এ বৈষম্যের নিরসন চাই। অতিশীঘ্রই আমাদের ক্লাস সংকট দূর করতে হবে ও বিসিএস সাব্জেক্ট কোডে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ইউজিসির কাছ থেকে সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, এ ইনস্টিটিউটের বর্তমান নামকরণ অযৌক্তিক,অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয়। যে কারণে আমাদের কেবল রাজনৈতিক না, অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা নিয়েও তর্ক শুনতে হয়।

এসব দাবিতে বিভাগের পরিচালক ও সব আবর্তনের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন এবং শিক্ষক ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ২০১৭ সালে ৪৭তম আবর্তন দিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে বিভাগের বয়স সাত বছর পেরিয়ে গেলেও একটি ব্যাচও তাদের স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেনি।

/আহসান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়