পাবিপ্রবির বেশিরভাগ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ নেই
আহসান হাবীব আতিক, পাবিপ্রবি || রাইজিংবিডি.কম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, হল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সমাগম হয় প্রতিদিন। এমন জায়গায় অগ্নি দুর্ঘটনায় প্রথম ভরসা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অথচ সেগুলো বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে কোনো অগ্নি দুর্ঘটনার চরম ঝুঁকি রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পাবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক ভবন ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায় ছয়টির মধ্যে তিনটি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রে মেয়াদের কোনো স্টিকার নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ১১টির মধ্যে সাতটি করে মেয়াদবিহীন সিলিন্ডার দেখা যায় গেছে। চতুর্থ তলায় ১৭টির মধ্যে মাত্র চারটি সিলিন্ডারে মেয়াদ দেখা যায়। পঞ্চম তলায় ১২টির মধ্যে সাতটিতেই মেয়াদবিহীন দেখা গেছে। তবে ষষ্ঠ তলায় আর্কিটেকচার বিভাগে কোনো অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দেখা যায়নি।
এছাড়া, ক্যাফেটেরিয়ায় নিচ তলায় দেখা যায় চারটির মধ্যে তিনটিতে মেয়াদ নেই। দ্বিতীয় তলা থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত ১২টির মধ্যে ১১টিতেই মেয়াদ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ব্লক-এ’তে দেখা যায় মোট ২৩টি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে নয়টিতে মেয়াদ নেই। ব্লক-বি’তে দেখা যায় ২৫টির মধ্যে ১৭টিতে মেয়াদ নেই। লাইব্রেরী ভবনে দেখা যায়, ১৫টির মধ্যে নয়টিতেই মেয়াদ নেই।
জানতে চাইলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য পাবনা সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণদের তারিখ সিলিন্ডারের বডিতে লেখা থাকে। নতুন যেগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে কোম্পানি তারিখ বাসায়নি, তারিখ বসাতে হবে। যেগুলোর তারিখ সিলিন্ডারে দেওয়া নেই, সেগুলোর তারিখ রশিদে দেওয়া আছে।
নতুন লাগানো সিলিন্ডারে মেয়াদ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে একটা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। আমি যদি প্রশিক্ষণে যেতাম, তাহলে দেখতাম তারিখ বসানো আছে কী না। আপনি যেহেতু আমাকে বললেন, আমি দুই-এক দিনের মধ্যে এসে দেখব এবং কোম্পানিকে জানাব। কোম্পানি তারিখ বসিয়ে দিবে।
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্টার (সিকিউরিটি) এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, এই টেকনিক্যাল বিষয়ে আমার জানা নাই। এগুলোর ব্যাখ্যা দিবে কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য। আমি শুধু বলতে পারব কোথায় কয়টি লাগানো হয়েছে, কোথায় কয়টি রিফিল করা হয়েছে।
নতুন লাগানো সিলিন্ডারে মেয়াদ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো দেখা আমার কাজ ছিল না। টেকনিক্যাল সদস্যের এগুলা দেখা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুন মাসে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯০ টাকা ব্যায়ে ১৪৯টি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ক্রয় ও রিফিল করা হয়।
/মেহেদী/