ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক দিবস পালিত

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ৫ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৫৪, ৫ অক্টোবর ২০২৪
নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক দিবস পালিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রবীন্দ্র শ্ববিদ্যালয়সহ (রবি) বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাবি প্রশাসন ও ১৭টি হলের সমন্বয়ে সিনেট ভবনের সামনে থেকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সিরাজী ভবন ও প্যারিস রোড হয়ে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে আলোচনা ও শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।

‘শিক্ষকের কন্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনজন শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, রাবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপার্চায অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, রাবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক র ড. দাশ বাসদেব কুমার ও অধ্যাপক ড. মো. একেএম আজহারুল ইসলাম বীর প্রতীক।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকে যে গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে, তাদেরকে সম্মান প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নিজের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। আশা রাখছি বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের আয়োজন বারবার হবে। শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় বিদ্যালয় থেকে। গ্ৰিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, শিশুদের শিক্ষায় শিক্ষকদের অবদান তার অভিভাবকদের থেকেও বেশি। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম ও জ্ঞান উৎসর্গ করার স্বীকৃতি হলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি অলঙ্কারিত করার দায়িত্ব আমাদের। মনে রাখতে হবে, শিক্ষা শুধু জ্ঞান প্রণয়নের জন্য নয়। শিক্ষকরা যে অনুপ্রেরণা ও রোল মডেল তৈরি করেন, তা শিক্ষার্থীদের জীবনকে আলোকিত করবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড বা শিক্ষক জাতি তৈরি করেন, এ কথাটাই কিছুটা কমতি আছে বলে আমি মনে করি। আমরা কি এমন কোন রাষ্ট্রে দেখাতে পারবো, যেখানে সব শিক্ষক ভালো এবং সব ছাত্ররা খারাপ, আবার সব ছাত্ররা ভালো এবং সব শিক্ষকরা ভালো নয়? তার মানে শিক্ষকতা পেশাটা আদান-প্রদানের ব্যাপার। ভালো শিক্ষক যেমন ভাল ছাত্র তৈরি করে, ভালো ছাত্র তেমন ভালো শিক্ষক তৈরি করতে পারে। আমরা বর্তমানে ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সামনে সম্ভাবনা ও আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে। আমাদের কর্মকাণ্ডই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

এদিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্নাতক পর্যায়ের রচনার বিষয় ছিল- ‘আমার দেখা সেরা শিক্ষক’।

স্নাতক পর্যায়ে তিনজন প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তারা হলেন- সমাজকর্ম বিভাগের মো. শামিমুল আলম (প্রথম), নাট্যকলা বিভাগের রাফায়েত আহমেদ (দ্বিতীয়), উদ্ভীদবিদ্যা বিভাগের ফাহিমা খাতুন (তৃতীয়)।

স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিষয় ছিল- ‘আমার শিক্ষককে আমি যেভাবে দেখতে চাই’। স্নাতকোত্তর পর্যায়েও তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- আরবি বিভাগের মো. বায়েজিদ (প্রথম), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. মিনহাজুল আবেদীন (দ্বিতীয়), রসায়ন বিভাগ মো. হাবিবুর রহমান (তৃতীয়)।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

দিবসটি উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) সকাল ১১টায় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-১ থেকে শুরু হয়ে শাহজাদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের সম্মানে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখ বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি উদযাপন করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

/ফাহিম/হাবিবুর/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়