ঢাকা     সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২২ ১৪৩১

ছাত্রলীগমুক্ত হলের দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৭ অক্টোবর ২০২৪  
ছাত্রলীগমুক্ত হলের দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক হলগুলোকে ছাত্রলীগমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা এ দাবিতে মিছিল করেন।

এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহিদ শামসুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহিদ নাজমুল হক হল, শাহজালাল হল ও ঈশা খাঁ হলের সামনে গেলে ওই হলের কিছু শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।

পরে তারা মিছিল নিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনের রাস্তা দিয়ে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেআর মার্কেটে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন। 

এ সময় তারা ‘ছাত্রলীগের চামড়া, তুলে নিবো আমরা’, ‘ছাত্রলীগের দুইগালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ হল ছাড়’সহ নানা ধরনের প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।

জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রথম বর্ষের শহিদ শামসুল হক হল ও ফজলুল হক হলের দুজন ব্যাচমেট শিক্ষার্থীর মাঝে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে রেষারেষি চলছিল। রোববার তারা আব্দুল জব্বার মোড়ে সেটা নিয়ে দুজনের হাতাহাতি হয়। এ সময় ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিজের হলের জুনিয়রের পক্ষ নিয়ে শহিদ সামসুল হক হলের ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীসহ হলের বেশকিছু শিক্ষার্থী মিলে বাকৃবির সব হল থেকে ছাত্রলীগমুক্ত করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহীদ শামসুল হক হলের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ফজলুল হক হলে আমার ক্লাসমেট বন্ধুর সঙ্গে একটু রেষারেষি হলে আমি আমাদের ব্যাচের গ্রুপে আর কথা না বাড়িয়ে তাকে নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে নিয়ে এসে বোঝানোর চেষ্টা করি। এ সময় ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের একজন ‘আমার হলের জুনিয়রকে মারছিস কেনো?’ বলে আমার গায়ে হাত তুলেন। 

ফজলুল হক হলের অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি আব্দুল জব্বার মোড়ে দেখি আমার হলের জুনিয়রকে ওই ছেলে চড় মারছে। এ সময় আমি গিয়ে ঘটনা কি হয়ছে জানতে চাইলে আমাকেও গালি দেয় এবং আমার উপর চড়াও হয়। তাই আমি আত্মরক্ষার স্বার্থে যা করা দরকার করেছি।

ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দ্বিতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী। আমি ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়ালোভাবে যুক্ত ছিলাম না। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। ইতোমধ্যেই আমাদের গণতদন্ত কমিটি গঠন শেষ হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যারা শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল বা এখনো জড়িত আছে , তারা কোনোভাবেই হলে থাকতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/লিখন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়