জাবি উপ-উপাচার্যকে অপসারণ দাবি
জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি পদ থেকে অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদকে অপসারণের দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষক ড. সোহেল আহমেদকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) নিয়োগ দেওয়া ও ক্যাম্পাসের ‘সার্বিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করার লক্ষ্যে’ নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি মনোনীত করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তিনি ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর দুর্নীতিবাজ উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার অন্যতম কুশীলব এবং ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে গ্রাফিতি ইস্যুতে দুই ছাত্র ইউনিয়ন নেতার বহিষ্কারের দাবিতে নাটকীয় অনশনে সংহতি প্রদান করেন। বিগত ১৬ বছরে জাবিতে নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীদের ও স্বৈরাচারবিরোধী জুলাই আন্দোলনের শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করে সোহেল আহমেদকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অন্যতম দোসর এই শিক্ষক।
তারা আরও বলেন, সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে মাস্টারপ্ল্যান না করেই লেআউট প্ল্যানকে মাস্টারপ্ল্যান আখ্যায়িত করে অপরিকল্পিত উন্নয়ন, একই স্থানে ছেলেদের তিনটি হল নির্মাণ, ছাত্রলীগের সঙ্গে টাকার ভাগবাটোয়ারাসহ একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। এরপরও সোহেল আহমেদ ফারাজানা ইসলামকে উপাচার্য পদে বহাল রাখতে নির্লজ্জ সমর্থন, সহযোগিতা ও শক্তি যুগিয়ে গেছেন। এ রকম একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করার ফলে পূর্বের নিপীড়নগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। এই নিয়োগের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসর তথা জুলাই আন্দোলনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ও মদদদাতাদের ক্যাম্পাসে পুনর্বাসিত করা হবে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অবিলম্বে ২০১৯ সালের দুর্নীতি ও ৫ নভেম্বরের হামলার ঘটনার কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে সোহেল আহমেদকে অবিলম্বে তার পদ থেকে অপসারণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
/আহসান/মেহেদী/