হাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এ সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত। এতে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮১ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ সম্মেলনটির উদ্বোধন করা হয়। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্যের সমতার জন্য আইন প্রণয়ন, সামাজিক সাম্যতার  উন্নীতকরণ এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত একীকরণকে এগিয়ে নেওয়া।’

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম.জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলাম, হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তির বার্তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরাও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেটা কি বাস্তবায়িত হচ্ছে? বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। জাতিসংঘ এসব বিষয় সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরাইল কর্তৃক প্যালেস্টাইনে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা জাতিসংঘের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখতে পারিনি। আমি আশা করব, ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা এ বিষয়গুলো হাইলাইট করবে। পাশাপাশি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই। একটা সময় শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দসহ অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈষম্য ছিল। এ বিষয়গুলোও আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব বলেন, এক সময় বলা হতো, এ যুগের শিক্ষার্থীরা তথা তরুণ প্রজন্ম কি পারে? কিন্তু আমরা কি করতে পারি, সেটি দেখিয়ে দিয়েছি। মাত্র এক মাসের আন্দোলনে ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করেছি। এখন আমরা শিক্ষার্থীরা এ দেশকে আবার নতুন করে গড়তে চাই। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা এ দেশের তরুণদের আছে। আমাদের দেশে উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হলো- বৈষম্য। এ বৈষম্য নিরসনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।