ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১ ১৪৩১

বাকৃবিতে মাছজাত পণ্যের প্রদর্শনী

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১৭ অক্টোবর ২০২৪  
বাকৃবিতে মাছজাত পণ্যের প্রদর্শনী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ থেকে প্রক্রিয়াজাত করা বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ এই মূল্য সংযোজিত মৎস্য পণ্য প্রদর্শনী-২০২৪ আয়োজন করে। এ প্রদর্শনী পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের কাটলেট, ফিস স্ট্রিপ, ফিস বল, ফিস পাউডার, পাঙ্গাসের সস, ফ্রোজেন ফিস এবং কাঁচকি, টাকি, পোয়াসহ বিভিন্ন প্রোসেসিং মাছ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও সরাসরি রান্নার উপযোগী টাকি, কই, শিং, মাগুর, ইলিশ, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছের ফ্রোজেন পণ্য প্রদর্শন করা হয়। সাবির এগ্রো, সওদা-ই বাজার এবং আবিদ এগ্রো এ প্রদর্শনীতে অংশ  করেন।

বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড মো. শাহেদ রেজা, অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখাসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতকোত্তরের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ফিশারিজের শিক্ষার্থীরা যেগুলো পড়ি, সেগুলো আজ চোখের সামনে দেখে অনেক ভালো লাগছে। কিছু আইটেম খেয়েও দেখলাম, অনেক স্বাদ হয়েছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ অনেক বাচ্চারা খেতে চায় না। তবে এই মুখরোচক খাবারগুলো বাচ্চারা অনেক পছন্দ করবে।

ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহেদ রেজা বলেন, আমাদের দেশে খামারি বা কৃষকরা যে মাছ উৎপাদন করে, এগুলো বাসায় গিয়ে কেটে, পরিষ্কার করে তারপরে খেতে হয়।  এখানকার উদ্যোক্তারা মাছ প্রক্রিয়াজাত বা অর্ধ প্রক্রিয়াজাত করে এমনভাবে তৈরি করেছেন, যাতে বাজার থেকে কিনে প্যাকেট খুলেই সরাসরি রান্না করা যায়।

তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে দুই ধরনের পণ্য আছে। একটি সরাসরি রান্নার উপযোগী এবং অন্যটি সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। পুষ্টিমানের দিক থেকে মাংসের চেয়ে মাছ অধিক উন্নতমানের। কিন্তু আমাদের দেশের বাচ্চারা অনেকে কাটার ভয়ে মাছ খেতে চায় না। তবে এখানকার পণ্যে কোনো কাটা নেই এবং খেতেও মুখরোচক। তাই বাচ্চারাসহ সবাই সানন্দে খেতে পারবেন। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবনে যারা ব্যস্ত থাকেন তারা এই পণ্যগুলো কিনে সরাসরি রান্না করতে পারবে। এতে সময় সাশ্রয় হবে।

/লিখন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়