ঢাকা     সোমবার   ২১ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৫ ১৪৩১

পরীক্ষা না দিয়েই ৩.৫০ পেলেন রাবি ছাত্রী

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১২, ২১ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১২:২৩, ২১ অক্টোবর ২০২৪
পরীক্ষা না দিয়েই ৩.৫০ পেলেন রাবি ছাত্রী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরীক্ষা না দিয়েই ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৫০ পেয়েছেন এক ছাত্রী। ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনালে এ ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ অক্টোবর সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশ হলেও রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে এটাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলছেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয় এবং ৬ জুন শেষ হয়। চলতি মাসের ১৬ অক্টোবর ওই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে, শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ মারিয়া (২২) নামের পাশে ফলাফল জিপিএ ৩.৫০ লেখা রয়েছে। অথচ তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ফলে তিনি দ্বিতীয় বর্ষ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এমনকি তার তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণেরও কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভাগের ফলাফল তৈরি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই কীভাবে ফল পেতে পারে? এ থেকেই বোঝা যায়, পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা যথাযথভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করে ইচ্ছেমতো ফলাফল তৈরি করেন।’

পরীক্ষা না দিয়ে ৩.৫০ পাওয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ মারিয়া বলেন, ‘আমি মাতৃত্বকালীন অসুস্থতার জন্য দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তাই আমি এখনো তৃতীয় বর্ষে উঠতে পারিনি। বর্তমানে আমি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছি। কিছুদিন পর পরীক্ষা দেব। কিন্তু আজকে রেজাল্টের বিষয়টি জেনে খুব অবাক হয়েছি।’

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ‘এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। পরীক্ষা কমিটির তিনজন টেবুলেটর (পরীক্ষা কমিটির সদস্য) ছিলেন। মূলত তাদের গাফিলতির কারণেই এ ভুলটি হয়েছে। তবে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সংশোধনের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়