ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবিতে রাবির শেখ রাসেল মডেল স্কুলে তালা

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ২২ অক্টোবর ২০২৪  
শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবিতে রাবির শেখ রাসেল মডেল স্কুলে তালা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেখ রাসেল মডেল স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় স্কুল গেইটে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা স্কুল প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি করে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা ভর্তির জন্য ৫ হাজার ও এক মাসের বেতন ২ হাজার টাকা দিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়। কিন্তু ভর্তির পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও তাদের কোনো ক্লাস নেওয়া হয়নি। এছাড়া ঘোষিত সময় শেষ হয়ে গেলেও স্কুল প্রশাসন তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তাদের প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা নেই। অতিদ্রুত এ প্রশাসনের পদত্যাগ করতে হবে এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অন্যত্থায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয়।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা খুলতে হলে প্রথমে ম্যানেজিং কমিটি, এরপর শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বোর্ড অব গভর্নর এবং সবশেষে সিন্ডিকেটের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু শেখ রাসেল মডেল স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তা-না মেনে শুধু বোর্ডের অনুমতি নিয়ে গত ২৭ জুলাই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয়। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ৩০ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও তিন মাস ধরে তা বন্ধ রয়েছে। তবে কলেজ সেকশনে তাদের কোনো শিক্ষক নেই। এছাড়া ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করার পর তাদের রেজিষ্ট্রেশনের সময়ও শেষ হয়ে যায়।

অবস্থান কর্মসূচিতে রাকিব নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, তারা সুষ্ঠুভাবে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন হবে না এবং প্রতিষ্ঠান তাদের রাখবে না। বোর্ডে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বলা হয়, শিক্ষকরা চাইলেই তাদের রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

আরেক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নেই। এতোদিন অপেক্ষা করে কোনো সুফলও পাচ্ছে না। তারা ৭ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে। কিন্তু সেই টাকারও কোনো হদিস নেই। তাদের দাবি দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করে ক্লাস শুরু করতে হবে এবং আক্তার বানু ম্যামের পদত্যাগ করতে হবে।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ছেলে-মেয়েদের একটা বছর নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। ভর্তি নেওয়ার পর যখন রেজিস্ট্রেশনের সময় ছিল, তখন কেনো তাদের অন্য কলেজে ট্রান্সফার করা হলো না? দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যদি অন্য স্কুলে ট্রান্সফার করা যায়, তাহলে এদের কেন যাবে না? ১০০ জন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হচ্ছে, এর দায়িত্ব কে নিবে? দায়িত্ব নিতে না পারে তাহলে তাদের পদত্যাগ করতে হবে এবং সব শিক্ষার্থীর দায়িত্ব উপাচার্য স্যারকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সায়েদা দিলরুবা বলেন, এখানে আমার হাতে কিছু নেই। এটি ইনস্টিটিউট ও উচ্চপর্যায়ের বিষয়। গতকালও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম, রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া আর ট্রান্সফারের বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে স্কুলের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. আক্তার বানুকে কল দিলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়