ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

‘ভবিষ্যতে গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যাবে বায়োটেকনোলজি সেক্টর’

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২২ অক্টোবর ২০২৪  
‘ভবিষ্যতে গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যাবে বায়োটেকনোলজি সেক্টর’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু রেজা বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান ক্ষেত্র হয়ে উঠবে বায়োটেকনোলজি সেক্টর। অদূর ভবিষ্যতে গার্মেন্টস সেক্টরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এ সেক্টরটি।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনে বায়োটেকনোলজির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত ৩০ বছর ধরে আমাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অপেশাদার লোক বসানোর ফলে এ সেক্টর থেকে দেশ ও জাতির প্রাপ্তি প্রায় শূন্য। এই প্রথম বায়োটেক পেশাজীবী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক ড. শাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেখানে বর্তমান সরকার এ রকম একটি চমৎকার ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে এবং নতুন শিল্প ক্ষেত্র তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, এনআইবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম বিশেষ গ্রাজুয়েট ও বিশেষজ্ঞ মহাপরিচালক হিসাবে পদায়ন পেলেন। এ ইন্সটিটিউটটি হচ্ছে বায়োটেকনোলজির জন্য। দেশের উন্নয়নে বায়োটেক কিভাবে কাজে লাগানো যায়, বায়োটেক থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান তৈরি, এই সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা দেখার জন্যই তো এ ইন্সটিটিউটের জন্ম। কিন্তু এর আগে কখনোই কোনো বায়োটেকনোলজিস্টকে এর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে সেক্টরটি বরাবরই অবহেলিত থেকেছে। এর থেকে পাশ করা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বৈষম্যের শিকার হয়েছে।

ড. আবু রেজা বলেন, বাংলাদেশে প্রথম বায়োটেকনোলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরের বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০টিরও বেশী পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয় হিসাবে চার বছরের অনার্স কোর্স পড়ানো হয়। কিন্তু দেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থান নেই, গড়ে উঠেনি তেমন শিল্প, তৈরি হয়নি বায়েটেক শিল্পবান্ধব কোন নীতিমালা, বিদেশী উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার কোনো কর্মপরিকল্পনা। কিন্তু বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদার কারণে এ মেধাবী পেশাজীবীরা দেশ ছাড়ছে।

সরকারের কাছে এ শিক্ষকের দাবি, এনআইবির মহাপরিচালক যেন বায়োটেকনোলজি থেকেই প্রতিবছর নিয়োগ দেওয়া হয়। কারণ বায়োটেকনোলজি পেশাজীবী থেকে আসলেই বায়োটেকনোলজির শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট শিল্প বিকশিত হবে।

এ সময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়