ঢাকা     রোববার   ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১১ ১৪৩১

হলে উঠতে ছাত্রলীগ করেন বলে দাবি রাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২৭ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪৮, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
হলে উঠতে ছাত্রলীগ করেন বলে দাবি রাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির

নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাসুদ কিবরিয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি হলের সিট পেতে ছাত্রলীগের সহায়তা নিলেও ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচিতে যেতেন না বলে দাবি করেছেন।

এর আগে, ২০১৯ সালে ৩১তম কাউন্সিলে শাকিলা খাতুনকে সভাপাতি ও মিঠুন চন্দ্র মহন্তকে সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়নের রাবি সংসদের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) সংগঠনটির রাবি সংসদের ৩২তম কাউন্সিলে মাসুদ কিবরিয়াকে সভাপতি ও পরমা মোস্তফাকে সম্পাদক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মেহেদি হাসান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির করিম কুয়াশা, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওফিক ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মেহের, দপ্তর সম্পাদক মুন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লাবিব হক।

এতে সদস্য হিসেবে শাকিলা খাতুন, মিনহাজ হাবিব, গোলাম মোস্তফাকে মনোনীত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি সদস্যপদ খালি রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে কাজের মধ্য দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে সদস্য পদ দেওয়া হবে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, ঘোষণার পর থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নতুন এ কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু করেন রাজনৈতিক সচেতন মহল ও রাবি সংশ্লিষ্টরা। তারা নবনিযুক্ত সভাপতি মাসুদ কিবরিয়াকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে নানা মন্তব্য করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাবিতে নকল ছাত্র ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ। সিপিবিকে অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ হওয়ার চেষ্টায় কোনো কমতি নাই।’

রাবিতে কর্মরত সাংবাদিক সাইফুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যু আর কেউ ঠেকাতে পারল না। সংগঠনটির আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জানতে চাইলে নতুন সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া বলেন, ‘হ্যাঁ আমি মানছি, হলে সিট পাওয়ার জন্য আমি ছাত্রলীগের সাহায্য নিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কোন কার্যক্রমে আমি যেতাম না। তাই তারা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। এছাড়াও আমি ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নই।’

সংগঠনের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যেখানে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের কার্যক্রম থেকে শুরু করে কোনো অভিমত জানাতে পারেনি, সেখানে আমি চাই সবাই তাদের মতামত প্রকাশে স্বাধীন হোক। এছাড়া আমাদের বাম মতাদর্শ বা বাম ঘরানার রাজনীতি নিয়ে যারা আগ্রহী, তাদের জন্য ছাত্র ইউনিয়নের দরজা সবসময়ই খোলা। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’

এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, ‘আমাদের কাছে তার প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার তথ্য আছে। কিন্তু সেটি ছিল শুধুই হলে সিট পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রমে অংশ নেননি বলে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘দুই থেকে আড়াই বছর যাবৎ মাসুদ কিবরিয়া ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি জুলাই বিপ্লবেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে, পাঁচ বছর আগে তার ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনাটি একেবারেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়