ঢাকা     শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৭ ১৪৩১

রাবি অধ্যাপকের লকার ভেঙে পরীক্ষার নথি উদ্ধার

রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৮, ৩১ অক্টোবর ২০২৪  
রাবি অধ্যাপকের লকার ভেঙে পরীক্ষার নথি উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের চেম্বার এবং লকার থেকে ফল আটকে থাকা পরীক্ষার নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং মতিহার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে এসব নথি উদ্ধার করা হয়। নথি উদ্ধারের পর বিভাগ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা জানানো হলে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লকার এবং চেম্বারের তালা ভাঙার পর সেখান থেকে মাস্টার্সের নন-থিসিসের মৌখিক পরীক্ষার ৩৮ জনের ফল পাওয়া গেছে। এছাড়া, সান্ধ্যকালীন কোর্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। তবে, মাস্টার্সের তিনজনের থিসিসের মৌখিক পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেছেন, পরীক্ষার ফল প্রকাশে তথ্য উদ্ধারের জন্য প্রশাসন থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটির নির্দেশে প্রক্টরিয়াল বডি এবং মতিহার থানা পুলিশের উপস্থিতে মুসতাক আহমেদের লকার এবং চেম্বারের তালা ভাঙা হয়। সেখান থেকে মাস্টার্সের নন-থিসিসের ভাইভার ফল পাওয়া গেছে। তার চেম্বারে সান্ধ্যকালীন কোর্সের কিছু নথি পাওয়া গেছে। আশা করি, উদ্ধার করা তথ্য দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব থেকে পরীক্ষার নম্বরপত্র দিনের পর দিন আটকে রেখে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তাই, আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তার (মুসতাক) লকার ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো বের করেছি। বাকি কাগজপত্র নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে তার লকার সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও আমাদের ফল প্রকাশ না হলে আমরা গতকাল বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করি। আমাদের সাবেক সভাপতি ও অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য ফল আটকে আছে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদের চেম্বার থেকে আমাদের পরীক্ষার নথি উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভাগ থেকে আমাদের রোববার/সোমবার ফল প্রকাশের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যেহেতু, আমাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে, তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যহার করলাম।

স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও ফল না পাওয়ায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার নথিপত্র উদ্ধারের আগ পর্যন্ত বিভাগে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

ফাহিম/আরএম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়