ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে জবি শিক্ষার্থীদের তালা

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৭, ৫ নভেম্বর ২০২৪  
৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে জবি শিক্ষার্থীদের তালা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্নে সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেন তারা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভে পরিণত হয়। পরে তারা ভবনের প্রধান ফটক আটকে দেন।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসন, কবে দিবে প্রশাসন?’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘যত পারো রক্ত নাও, সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাস দাও’, ‘জমি নিতেই ৬ বছর, হল হতে কয় বছর’, ‘টেন্ডারবাজ প্রশাসন, চলবে না চলবে না’, ‘মুলা ঝুলানো প্রশাসন, চলবে না চলবে না’, ‘বছরের পর বছর যায়, প্রশাসন শুধু মুলা ঝুলায়’সহ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বী বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে আমরা আজ প্রশাসনিক ভবনের দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে উপাচার্য হলে দাবি আদায় হবে, কিন্তু তা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা আর মুলায় বিশ্বাসী না। যদি কেউ মনে করেন, চক্রান্ত করে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজে দুর্নীতি করবেন, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উৎখাত করতে প্রস্তুত আছে।’

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিয়ে ও আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করবো। প্রয়োজনে যদি অনশন করতে হয়, তাহলে তাও করবো। আগে আমাদের বাঁচতে দেন, তারপর পড়াশোনা করবো। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিতে আমরা দল মত নির্বিশেষে একসঙ্গে থাকবো।’

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘জবি শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির প্রেক্ষিতে অবিলম্বে দূর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। তাকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। উনি যদি আমাদের আল্টিমেটাম মেনে না নেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীরা এর দায়ভার নিবে না। আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটবো না। যদি প্রয়োজন হয় জুলাই আন্দোলনের মত আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।’

আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সোহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে তিন দফার সচেতনতার লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রতি বিভাগের ক্লাসে ক্লাসে জনসংযোগ কর্মসূচি। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে তিন দফার পক্ষে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান রইলো।

/লিমন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়