পাবিপ্রবির ছাত্রী হলে কর্মকর্তাদের ম্যাম ডাকতে বাধ্য করার অভিযোগ
পাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের ম্যাম বলে ডাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নারী হল কর্মকর্তা হলেন, উপ-রেজিস্ট্রার মোছা. আফরোজা আক্তার রাজিয়া বানু ও মোছা. রেবেকা সুলতানা।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ওই দুই কর্মকর্তাকে ম্যাম না ডাকলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার খারাপ আচরণ, গণরুম থেকে সিট দিতে বিলম্ব, তাদের মন মতো না চললে ছাত্রীদের সিট ছেড়ে দিতে বলেন তারা।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলটির শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ ও কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে কর্মকর্তার রোষানলের শিকার হওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে কোনো ছাত্রী সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কর্মকর্তারা আমাদের শিক্ষক নয়, তবু তাদের ম্যাম ডাকতে হয়; এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। যদি ম্যাম না ডাকা হলে সেটা তারা খারাপ চোখে দেখেন। পরে আমাদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়। গণরুম থেকে রুমে সিট সহজে পাওয়া যায় না , বিভিন্ন কাজে কোনো কারণ ছাড়াই কথা শুনতে হয়। হল প্রাধ্যক্ষ এ বিষয়ে জানলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না, যা আমাদের জন্য হতাশাজনক।’
অন্য আরেক ছাত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তাদের পরোক্ষভাবে ম্যাম ডাকতে বাধ্য করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের কালচার থেকে বের হয়ে আসা উচিত। আমরা আশা করি হল প্রাধ্যক্ষ এ বিষয়ে দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হল কর্মকর্তা মোছা. রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘এ সব অবাঞ্ছিত কথা, এর কোনো সত্যতা নাই। আর ম্যাম ডাকা আর আপু ডাকা একই কথা। কোনো মেয়ের যদি সাহস থাকে আর আপনাদের কাছে প্রমাণ থাকে, তাহলে তাকে বলেন প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দিতে। তিনিই তাহলে আমাদের বিচার করবেন।’
তবে অভিযুক্ত আরেক কর্মকর্তা মোছা. আফরোজা আক্তার রাজিয়া বানু কল রিসিভ করলে সাংবাদিক দিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. জিন্নাত রেহেনা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকে ছাত্রীরা কর্মকর্তাদের ম্যাম ডেকে এসেছে। আমি তো চাইলেই একটা রেওয়াজ পরিবর্তন করতে পারি না। আমাকে যে কোনো বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে গেলে একটা আলোচনা করতে হবে এবং সেটা আবেদনের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এ ব্যাপার আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে কাজ করবো।’
/আতিক/মেহেদী/