রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের খাবারে পোকা
এস আলী দুর্জয়, রাজশাহী কলেজ || রাইজিংবিডি.কম
রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের যেন অন্ত নেই। মান এতই নিম্নমানের যে, ডাইনিংয়ের খাবারের সঙ্গে মিলছে মাছি-পোকাও। এতে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের খেতে গিয়ে এক ছাত্রী খাবারের পোকা পেয়ে বিষয়টি রাইজিংবিডিকে জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাইনিংয়ের খাবারে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পোকা পাওয়া যায়। রান্না করার স্থানসহ খাবার পরিবেশনের জায়গা বেশিরভাগ সময় অপরিষ্কার থাকে। কর্মচারীরাও নোংরা হাতে খাবার পরিবেশন করেন। এতে শিক্ষার্থীদের খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন হোটেলগুলোতে খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
জানা গেছে, নিয়মিত ছাত্রী নিবাসের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। তাদের বমি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবার ক্লাস বা বাইরে থেকে আসতে একটু দেরি হলে খাবার ফুরিয়ে গেছে জানিয়ে খাবার দেওয়া হয় না অভিযোগ ছাত্রীদের।
ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিয়া বলেন, ‘আজ দিয়ে আমি তিনদিন খাবারে পোকা পেলাম। যখনই খালাদের বলি, তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং বলেন, পরে পড়েছে পোকা। নিজের দোষগুলো স্বীকার করেন না। এমনকি আমরা সকালে ঠিকমতো খাবার পাই না।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সিমলা বলেন, ‘হোস্টেলের খাবার মান একদিকে যেমন খারাপ, অন্যদিকে দেখা দেয় পোকা। এতে আমাদের খাবারের প্রতি অনীহা আসে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের ডাইনিং সহকারী আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি শুধু বাজার করে দেই । রান্নাঘর ও ডাইনিং এ ময়লা একটু হয়ই। আমরা সব সময়ই পরিষ্কার করে রাখি। কার্তিক মাসে এ সময়ে পোকা বেশি হয়, লাইটের আলোতে আসে; পোকা তাড়িয়ে রাখি।’
রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোছা জান্নাতুন নেছা বলেন, খাবারের সময় আমরা অনেক সময় চালের পোকা পাই। ওই রকম হয়তো হতে পারে। আমরা সবসময় সতর্কতার সঙ্গে সুন্দরভাবে বিষয়গুলো দেখে থাকি। আয়ারা আছে, তাদের সুন্দরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়, তারা সেভাবেই কাজ করে। আমি মাঝে মাঝে পরিদর্শন করি।’
/মেহেদী/