নোবিপ্রবির ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত
নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
হলের বাইরে আতঙ্কিত ছাত্রীরা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রীদের বিবি খাদিজা হলে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বের হতে গিয়ে দুই ছাত্রী আহত হয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য বিভাগগুলোর চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলের রুমগুলোতে শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক ওভেন, হিটার, ইন্ডাকশন কুকারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। অননুমোদিত এসব ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন সময় হলগুলোতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হচ্ছে। বিবি খাদিজা হলের ৩০৬ নম্বর রুমে শর্ট সার্কিটের কারণে নিচতলার পেছনের সিঁড়ির পাশে অবস্থিত বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে আগুন লেগে যায়। অগ্নিকাণ্ডে বৈদ্যুতিক মিটার বক্সটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীরা দ্রুত হল থেকে বেরিয়ে আসেন। বের হতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। পরে আহতদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বিবি খাদিজা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মামুন অর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহত দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা শেষে হলে রাখা হয়েছে। সংযোগ সচল রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে পারবো।’
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিবি খাদিজা হলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক।
এ সময় উপাচার্য বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে রাইস কুকার ও ইনডাকশনের মাধ্যমে রান্না করেন। ফলে ইলেকট্রিসিটিতে ওভারলোড হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদিজা হলের ডাইনিং চালু করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইলেকট্রনিক্স সেকশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ইলেক্ট্রিক লোড ক্যালকুলেশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী