আবাসন বৃদ্ধির দাবি ববি ছাত্রদলের

আগামী ১ মাসের মধ্যে অন্তত ২ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসনকে আবেদনপত্র দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ববি প্রক্টর ড. রাহান হোসাইন ফয়সাল না থাকায় এ দাবিটি গ্রহণ করেন সেকশন অফিসার মনোজ বৈরাগী।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন নিশ্চিত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবাসিক সংকটের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই মেসে থাকতে হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা ঝুকিও রয়েছে।

এছাড়া বাইরে থাকার কারণে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয়, পড়ালেখার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পড়ালেখার প্রতি মনযোগ ধরে রাখতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান। এ সময় আবাসন নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কোনো ভবন ভাড়া নেওয়ার দাবিও করেন তারা।

এ বিষয়ে ববির সাবেক ছাত্রী-বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্টের আমলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না আবাসন সংখ্যা। ফলে সৃষ্টি হয়েছে গণরুম ও গেস্টরুম কালচার। বিশেষত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের গণরুমে কিংবা অবৈধভাবে আসনে রেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ইতোপূর্বে তাদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে ছাত্রলীগের হল দখল ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ইতিহাস বহু। ভবিষ্যতে যেন কোন রাজনৈতিক সংগঠন শিক্ষার্থীদের এভাবে ব্যবহার না করতে পারে, সে লক্ষ্যে দ্রুত হল সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যতদিন নতুন হল উদ্বোধন না হয়, ততদিন ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বহুতল ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসন সমস্যা অস্থায়ীভাবে সমাধান করা উচিৎ।’

ববি ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরিফ হোসেইন শান্ত বলেন, ‘চারটি হল থাকলেও প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা হলে আসন পায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষে। আসন পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাইরে থাকতে হয়। শিক্ষার্থীদের এ সব ভোগান্তি থেকে অতিদ্রুত স্থায়ী সমাধান দাবি করছি।’

জুলাই আন্দোলনের সংগঠক ও ববি শাখার ছাত্রদল কর্মী রিফাত মাহমুদ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসন সংকট নিরসনের বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা করেয়া সে পথে হাঁটতে হবে। বৈধ আবাসন ও সুস্থ পরিবেশে পড়াশোনার অধিকার রয়েছে শিক্ষার্থীদের। অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা করছি।