সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সরব’ মশা, ‘নীরব’ প্রশাসন
এস এম রায়হানুল নবী, সিকৃবি || রাইজিংবিডি.কম
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ধ্যা হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে সরব হয়ে ওঠে মশা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ধ্যা হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে সরব হয়ে ওঠে মশা; ক্যাম্পাস থেকে আবাসিক হল পর্যন্ত শুরু হয় উৎপাত। দিনের পর দিন অসহনীয় এ অবস্থা চলে এলেও নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে প্রশাসনকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক হলের আশেপাশে ময়লা, ক্যাম্পাসের ড্রেনে জমে থাকা আবর্জনা, ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলে মশার উপদ্রব প্রকট হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নামতেই ক্যাম্পাসজুড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে শুরু করে মশা। অথচ তা দমনে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের পড়াশোনা ও ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “কয়েকদিন ধরেই মশার উৎপাত বেড়েছে। বিকেল হলেই হলের চারপাশ মশায় ভরে যায়। রুমে কয়েল জ্বালালেও কাজ হয় না। এক পাশে কয়েল থাকলে অন্যাপাশে যারা থাকে, তাদের কামড়ায়। তাছাড়া কয়েলের ধোঁয়া রুমের সবার সহ্য হয় না। পরিক্ষা চলছে, কিন্তু চেয়ারে বসে যে পড়বো, মশার যন্ত্রণায় সেটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “হলের পিছনে দিকে ডাইনিংয়ের ময়লা ফেলা হয়। এছাড়াও ড্রেনের জমে থাকা পানির কারণে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনের বেলাতেও মশা কামড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত, হলের চারপাশ পরিষ্কারের ব্যাবস্থা করা। এছাড়াও গত বছর ফগিং করা হলেও এ বছর এখনো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।”
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর আশপাশে ময়লায় ভরে আছে। হলগুলোর পেছনে পড়ে আছে ডাইনিংয়ের উচ্ছিষ্ট। উন্মুক্ত ড্রেনগুলোতে জমে আছে ময়লা ও কালো পানি। এতে করে মশার প্রজনন হার বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরে পরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক বলেন, “এ বিষয়গুলো মূলত প্রিভেন্টিভ শাখা দেখে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রিভেন্টিভ শাখাকে বলে দিব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেন্টিভ শাখায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাপস কুমার বলেন, “আমরা মশার প্রাদুর্ভাব কমাতে ড্রেন ও হলের আশপাশে পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই ফগিং করা হবে।”
ঢাকা/মেহেদী