জবি শিক্ষার্থীদের সহিংসতা এড়ানোর নির্দেশ প্রক্টরের
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ঢাকার চলমান পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রক্টর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক নোটিশে তিনি শিক্ষার্থীদের এ নির্দেশনা দেন।
নোটিশ বলা হয়, বিগত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সব ঘটনায় নিজেদের না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, স্মরণে রাখা প্রয়োজন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন’। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার গত ১৬ নভেম্বর সকালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১৮ নভেম্বর রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় ২০ ও ২১ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এ দুদিন ন্যাশনাল মেডিক্যালের পক্ষ নিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ হামলাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ‘ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রুপে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে ও আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও করে। এ সময় তাদের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে সাংবাদিকসহ ২০ জনের বেশি আহত হন। এদিন সোহরাওয়ার্দী কলেজে আন্দোলনকারী ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী কলেজ ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে, সেনা সদস্যরা অন্য শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে কলেজ ভবনে ঢুকতে পারেননি। এ সংঘর্ষে শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী