ঢাকা     শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৬ ১৪৩১

অফিস না করেই বেতন নিচ্ছেন যবিপ্রবির কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা

যবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৪৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
অফিস না করেই বেতন নিচ্ছেন যবিপ্রবির কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা

নিয়মিত অফিস না করে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন আলী রেজিস্ট্রার বরাবর এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলেন, অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, কর্মকর্তা হেলালুল ইসলাম, এটিএম কামরুল হাসান, কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদল, টেকনিক্যাল অফিসার সাইফুল, সিকিউরিটি গার্ড আসাদুল ইসলামসহ আরো অনেকে। এছাড়াও আভিযোগ পত্রে এদের স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। 

অভিযোগ পত্রে শিক্ষার্থীরা লেখেন, “বিগত ১৬ বছরে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাঠামোগতভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল। যবিপ্রবিও তার বাইরে ছিল না। যবিপ্রবিতে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা কাজ করেছিল, গত ৫ আগস্টের পর তাদের অনেকে বিশ্ববিদ্যালের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বেতন তুলছেন। এর মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”

আরও লেখেন, “২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে জাতি যে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখছে, স্বৈরাচারের দোসরদের অফিস না করে বেতন উত্তোলন তার পরিপন্থী। যারা অফিস না করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বেতন তুলেছেন এবং স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এটিএম কামরুল হাসান বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। শনিবার অফিসে এ বিষয়ে আমি লিখিতভাবে আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো। কি আইন লঙ্ঘন হয়েছে, তা তারা দেখায়নি। তাই এখনো বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না।”

অপর কর্মকতা মো. হেলালুল ইসলাম বলেন, “আমি ছুটিতে ছিলাম। শনিবার বিষয়টি দেখে তারপর বলতে পারবো। এ বিষয়ে এখন আমি কথা বলতে পারছি না।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, “আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি এখন প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হবে। সবকিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়