ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৯ ১৪৩২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে কোটার সংস্কারের দাবি  

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ১ ডিসেম্বর ২০২৪  
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে কোটার সংস্কারের দাবি  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সব বৈষম্য দূর করাসহ তিনটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভিসি কোটা বাতিল, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বাতিল ও পোষ্য কোটা সংস্কার করতে হবে।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় এতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। এতো বড় একটা পরিবর্তন হলো, অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। ভিসি কোটা একটা লজ্জাজনক ব্যবস্থা। পোষ্যরা মনে করেন তারা উত্তরাধিকার সুত্রে সিট পেয়ে যাচ্ছেন। আমাদের উদ্দেশ্য মেধাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা।”

তিনি আরও বলেন, “১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বড় একটা অংশ এসেছে কোটা থেকে। তারা মেধার মুল্য বোঝে না। এজন্য তারা এখানে এসে অপরাজনীতি করে। যেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে ৭০ থেকে ৭৮ পর্যন্ত নম্বর পেতে হয়, সেখানে ভিসি বা পোষ্য কোটায় ৪০ নম্বর পেলেই ভর্তি হতে পারে। তাই আমরা চাই আগামী ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাতিল করা হোক। শহীদদের সাথে বেইমানি না করে এ কোটা সংস্কার করা হোক।”

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, “যে কোটার জন্য দেশে এতো বড় একটা বিপ্লব ঘটে গেল, এখনো সেই কোটার জন্য আমাদের আবার দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, দেশের জন্য লজ্জার। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ কোটা পদ্ধতি বাতিল ও সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি নিয়ে যে সমালোচনা করা হয়, তারও বৈষম্য দূর করা হোক।”

সমাপনী বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, “একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পান না, অন্যদিকে মাত্র ২৬ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটাধারীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এ বৈষম্য জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না। যদি পোষ্য কোটা রাখতে হয়, তাহলে যৌক্তিক সংস্কার করে রাখতে হবে। আমরা দেখেছি এ পোষ্য কোটায় যারা ভর্তি হন, তারা কীভাবে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান।”

তিনি বলেন, “পোষ্য কোটাধারীরা জাহাঙ্গীরনগরের পরিবেশে বেড়ে উঠে। ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে তাদের আগে থেকে ধারণা থাকে এবং শিক্ষার্থী হয়ে তারা বিষয়গুলো কাজে লাগান। তারা মাদক, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের সিন্ডিকেটে জড়িত থাকেন। দ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়