পিঠা উৎসবে মেতেছে নোয়াখালী কলেজ
নোয়াখালী কলেজ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা-পুলি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের হাজার বছরের এ সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে। বাঙালির পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নোয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারি সারি স্টলে হরেক রকম পিঠা সাজিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবে হৃদয় হরণ, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, জামাই পিঠা, ভাপা রোল পুলি, কদম ও চন্দ্র পুলি, চিংড়ি পিঠা, মুরালী, সতির মোচড়, মুচমুচে মিষ্টি পিঠা, ক্ষীর, সেমাই সন্দেশ, ঝাল টুসি, নকশি পিঠা, চাকমা গুড় পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহি চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন নামের ও রংয়ের মুখরোচক পিঠা স্থান পায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। এ সময় কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ছানা উল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, “পিঠা উৎসব বাংলার শীতকালীন পিঠা-পুলির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে রক্ষা ও প্রসারে ভূমিকা পালন করবে। এ উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি।”
এ উৎসবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।
পিঠা উৎসবে আসা সাদিয়া জান্নাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “নগরায়ণের ফলে আমাদের মায়েদের হাতের পিঠা আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। বিদেশি রেসিপির পিঠা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দেশি পিঠা- পুলিতে। এজন্য প্রতিবছর পিঠা উসবের আয়োজন করা প্রয়োজন। এতে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।”
ঢাকা/তারিন/মেহেদী