৩ দিনেই সনদ পাবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ই-মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সনদ সংগ্রহ ও সংশোধনের প্রক্রিয়া সহজ করতে ‘ই-মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই মাত্র তিনদিনে নিজেদের সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে এ নতুন পদ্ধতির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটের শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, “আমরা ই-মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস নামে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সেবা চালু করেছি। এ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেটের জন্য জমাকৃত আবেদনের আপডেট জানতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী সনদের জন্য আবেদন করলে সেটি আমাদের কম্পিউটারে আসবে এবং তাকে ই-মেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে তার আবেদন সাবমিট হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে যদি দেখি সবকিছু ঠিক আছে, তাহলে তাকে জানানো হবে আপনার আবেদন সফলভাবে সাবমিট হয়েছে। আবেদনে কোনো সমস্যা থাকলে আবেদনকারীকে সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় ভুল আছে। পরে তা সংশোধন করে শিক্ষার্থীদের সনদ নেওয়ার জন্য নিদিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়াই সনদ নিতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সনদ লেখক মাত্র দুইজন। যদি আরও একজন লেখক নিয়োগ দেওয়া গেলে কাজগুলো আরও সুন্দর হবে। এখনও আমাদের পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা পুরোপুরি সফলভাবে এ সেবা চালু করতে পারবো। এ সেবায় শিক্ষার্থীরা তিনদিনের মধ্যে জরুরিভাবে সনদ তুলে নিতে পারবেন। তাছাড়া নিয়মিতভাবে সনদ তুলে নিতে তাদের মাত্র সাতদিন সময় লাগবে।”
ড. পাটওয়ারী বলেন, “শিক্ষার্থীরা সনদের জন্য এক মাস আগে আবেদন করে মনে করতেন, তাদের সনদ প্রস্তুত হয়ে গেছে। অনেক দূর থেকে এসে যখন দেখতেন সেটা হয়নি, তখন কান্নাকাটি করতেন। দূর-দূরান্ত থেকে এসে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হতো, এখন সেটা আর হবে না। একজন শিক্ষার্থী ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন, তাকে কোন তারিখে এসে সনদ তুলে নিতে হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ পদ্ধতি চালু করেছি। এতে দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। সনদ প্রস্তুত হলে তারা জানতে পারবেন এবং নিজেদের সময় মতো এসে সনদ তুলে নিতে পারবেন।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী