নবীনদের বরণ করে নিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবীনদের বই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা, ফাইল, প্যাড, কলম ও ফুল দেওয়া হয়।
ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, অতিথি হিসেবে ছিলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধূরী মাহমুদ হাসান এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন বিআইআইটি এর মহাপরিচালক ড. এম. আব্দুল আজিজ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, সভাপতিদের পক্ষে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট প্রমুখ।
দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান নবীনদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ‘এ’ ইউনিটের মাহমুদ, ‘বি’ ইউনিটের মেহরিন ইসলাম, ‘সি’ ইউনিটের এনায়েত জোয়ার্দার ও ‘ডি’ ইউনিটের আশিক মিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, ততদিন তোমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করবে। পাঁচ বছরের জন্য এটিই তোমার জন্মভূমি। তোমাদের পরিচয় তৈরি হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটস হিসেবে। তোমাদের সম্পর্ক থাকবে শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং আবাসিক হলের সঙ্গে।"
তিনি বলেন, “তোমরা যদি শ্রেণিকক্ষে বই নিয়ে পড়তে চাও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ খোলা থাকবে রাত ১২টা পর্যন্ত। যদি তোমরা না পড়, তাহলে নিজেদের তৈরি করতে পারবে না। যারা পড়ে, তারা মনে করে অনেক জানার আছে। যারা পড়ে না, তারা মনে করে আমরা খুব জানি।”
মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, “ইসলাম মানুষ ও মানবতাকে মুক্তি দিয়েছে। পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামই মানুষকে মুক্তি দেবে। তোমাদের আলোকিত, দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হতে হবে; নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। এগুলো সবই সম্ভব, যদি তোমাদের নিজেদের ভিতরে পরিবর্তন আসে। ইসলামের সোনালী যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় মুসলিম বিজ্ঞানীরা উন্নতি করতে পেরেছিল। কারণ কোরআন বিজ্ঞানের কথা বলেছে, গবেষণার কথা বলেছে, পৃথিবী ও সৃষ্টিজগত নিয়ে ভাবতে বলেছে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী