ঢাকা     রোববার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

বাকৃবি প্রশাসনের বৃক্ষনিধন বন্ধ করল গ্রিন ভয়েস

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪  
বাকৃবি প্রশাসনের বৃক্ষনিধন বন্ধ করল গ্রিন ভয়েস

অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসনের গাছ কাটা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

এর আগে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নির্বিচারে গাছ কাটা কার্যক্রমের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানান সাধারণ শিক্ষার্থী ও পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠন। কিন্তু তাদের এ প্রতিবাদ উপেক্ষা করায় সংগঠনটির সদস্যরা বৃক্ষনিধনে বাধা দেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনের এ গাছ কাটা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে সেখানে নিয়োজিত শ্রমিকদের চলে যেতে বলেন পরিবেশবাদী সংগঠন বাকৃবি গ্রিন ভয়েস শাখার সদস্যরা। 

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, একান্ত প্রয়োজনে উন্নয়নমূলক কাজের স্বার্থে গাছকাটার দরকার হলে কাটা হবে। প্রয়োজন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো গাছে হাত দিবে না। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইনের পাশে গোলচত্বর স্থাপন করা হচ্ছে। এতে দোকান স্থানান্তর ও গাড়ির পার্কিং জায়গা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হচ্ছিল। সেখানে গাছ কাটার প্রতিবাদে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ৫ ডিসেম্বর লিখিতভাবে অনুরোধ করে বাকৃবি গ্রিন ভয়েস শাখার সদস্যরা।

কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে ঘটনাস্থলে সংগঠনটি ৭-৮ জন সদস্য উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। পরে শ্রমিকরা গাছ কাটা অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরে যান। 

এ বিষয়ে বাকৃবি গ্রিন ভয়েস শাখার সভাপতি মো. বকুল আলী বলেন, “আজ আমরা গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেছি। আমরা প্রশাসনকে গাছের ফাঁকা জায়গায় দোকান স্থাপন ও গাছের নিচে গাড়ি পার্কিং নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছি। আমরা প্রশাসনকে গাছ না কাটার জন্য বলেছি। এরপরেও গাছ কাটা হলে মানববন্ধন করা হবে।”

তিনি বলেন, “এর আগে আমরা গাছ কাটা বন্ধের জন্য প্রশাসন বরাবর প্রতিবাদলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।”

তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, “অত্যন্ত প্রয়োজন না হলে প্রশাসন গাছ কাটে না। আমরা যে স্থানে গাছ কাটবো, কমপক্ষে তার দুই গুণ বেশি গাছ পরে লাগানো হবে। একান্ত প্রয়োজনে উন্নয়নমূলক কাজের স্বার্থে গাছকাটার দরকার হলে কাটা হবে। প্রয়োজন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো গাছে হাত দিবে না।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়