ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৯ ১৪৩২

রাজনৈতিক দলে ৩০ শতাংশ নারী থাকা উচিত: আনু মুহাম্মদ

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২২:৪৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজনৈতিক দলে ৩০ শতাংশ নারী থাকা উচিত: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “আমাদের জাতি, শ্রেণি, ধর্ম ও লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। এখানে যে কোন একটি বৈষম্য বাদ দিলে তা শেষ হবে না। রাজনৈতিক দলে সংস্কার করে সেখানে সকল জাতি, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গের লোক থাকা প্রয়োজন। তাহলেই সেটি জাতীয়ভাবে রাজনৈতিক দল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের শতকরা ৫১ ভাগ নারী বলা হচ্ছে, সেদিক বিবেচনা প্রতিটি রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩০ শতাংশ নারী থাকা উচিত।”

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার অডিটোরিয়াম নারীমুক্তি কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নারী ও নারীমুক্তি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সামনে থেকে লড়াই করেছিল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় এবং বেঁচে যাওয়ার পেছনে কিন্তু নারীর অবদান রয়েছে। তেমনি একইভাবে গণঅভ্যুত্থানেও নারীদের কিন্তু এই ভূমিকা রয়েছে। নানাভাবে এ গণঅভ্যুত্থানে সামনে ও পেছন থেকে লড়াই করে গেছেন। নারীর শক্তি থেকেই কিন্তু আমরা গণঅভ্যুত্থানে শক্তি পাই। ফলে গণতান্ত্রিক এক রূপ পাই। তাই এই শক্তিকে আমরা কোনভাবেই দুর্বল করতে পারি না। প্রয়োজনে এই নারী শক্তিকে আরও অধিক শক্তিশালী করতে হবে।”

এ সময় সুপ্রিম কের্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, “ইতিহাস সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের কয়জন নারীর এবং মুক্তিযুদ্ধের নারীর কথা আমাদের স্মরণে রয়েছে? ২৪ এর বেশ কয়েকজন নারীর কথা স্মরণ থাকলেও অনেক অনেক দশক পর কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের খোঁজ পেয়েছি। তাদের বেশ কয়েকজন বেঁচেও আছেন। আমরা যদি ইতিহাসকে ফেলে না দিয়ে ইতিহাসের অবদান স্বীকার করি, আমরা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।”

ইতিহাস রচনায় নারীদের গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে সংগীত শিল্পী বিথী ঘোষ বলেন, “ইতিহাসে একটা দেশে যুদ্ধ দিয়ে শুরু এবং যুদ্ধ দিয়েই কি শেষ হয়! যদি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস লেখা হয়, হয়ত ইতিহাস লেখার সেই ধারাবাহিকতায় আবার নারীরাও বাদ পড়ে যাবে। তাই আমাদের উচিত, ইতিহাস লেখার সময় পুরুষ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ কেন্দ্রিক ইতিহাস লেখার দিকে অগ্রসর হতে হবে।”

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ডা. তাসনূভা জাবীন, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাট্যকর্মী ও শিক্ষক মহসিনা আক্তার, স্থপতি ফারহানা শারমিন ইমু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়