ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৭ ১৪৩১

৩ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ: চমকে দিলেন চবির সৌরভ

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪  
৩ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ: চমকে দিলেন চবির সৌরভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সনদ সংগ্রহ ও সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ লক্ষ্যে গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ‘ই-মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিস’ চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিতে পারবেন। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাত্র তিন দিনেও সনদ ওঠাতে পারবেন। 

আর এ সার্ভিসের পুরো প্রক্রিয়ার কারিগর হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজটি করতে পেরে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, অনলাইনে সনদ সংগ্রহ ও সংশোধনের প্রক্রিয়ার জন্য কোনো পদ্ধতি তৈরি করতে পারবে কি-না, তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে সৌরভকে জানানো হয়। পরে তিনি অফিসকে এ ‘ইমেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিস’ পদ্ধতিটি তৈরি করে দেন। 

এ বিষয়ে সৌরভ কর্মকার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের সনদ তুলতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমি তাদের এমন কোন সিস্টেম তৈরি করে দিতে পারবো কি-না, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ তৈরির অগ্রগতি এবং আবেদনপত্রে কোন ভুল থাকলে সেটা জানতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে আমি তাদের ই-মেইল ব্যবহার করে একটি অটোমেটিক আপডেট জানানোর সিস্টেম তৈরি করে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার সনদের অগ্রগতি নিয়ে জানার জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে যাওয়ার ভোগান্তি কমবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে কাজটি করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দবোধ করছি। পদ্ধতিটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে যদি শিক্ষার্থীদের কিছুটা উপকার হয়, তবেই আমার কাজটি সার্থক হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, “সৌরভ খুবই যত্ন সহকারে কাজটি করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। আশা করি, সে একদিন দেশসেরা প্রোগ্রামার হবে এবং দেশ-বিদেশে ভালো কিছু বয়ে আনবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়