ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৮ ১৪৩১

২ ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের দিলেন কুবি শিক্ষার্থীরা

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৫, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২১:৩২, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
২ ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের দিলেন কুবি শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা হলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকেশ দাস ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এস. কে মাসুম।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তানি মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে আটক করে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কাছে তুলে দেন তারা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রহিম বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং স্বৈরাচারেরর দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সপোর্দ করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাদের মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশে সোপর্দ করবো। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারীদের মধ্যে যারা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাদেরও আমরা মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।”

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা মামলার আসামী হিসেবে আমাদের কাছে দুইজনকে দিয়েছেন। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করব, তারা সম্ভবত গ্রেপ্তার হিসেবে গ্রহণ করবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মূখ্য সংগঠক আরাফ ভুঁইয়া বলেন, “গত ১৫ জুলাই ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ঘটনার মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামী হিসেবে তাদের সোপর্দ করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত বললে, কুবির সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে, তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এরা। এছাড়াও যারা আছে এখনো, তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।”

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, “আমরা তাদের পূর্বের একটি মামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের শীঘ্রই আদালতে প্রেরণ করা হবে।”

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “রাকেশ দাসের বিষয়টা তার বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করার পর পুলিশ বলেছে, সে নিয়মিত মামলার আসামী। আমরা তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমের বিষয়ে আমরা অবগত নই।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়