চাকরিতে ইসিই অন্তর্ভুক্তির দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের
রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগ (ইসিই) অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত মানববন্ধনে ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। পরে তারা এ নিয়ে সংবাদ বিবৃতি দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘সনদ চাই সনদ চাই, সনদ ছাড়া চাকরি নাই’, ‘সনদ যখন দিবি না, ডিপার্টমেন্ট খুলবি না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, চাকরির ব্যবস্থা করতে না পারলে, বিভাগ খোলার দরকার কী ছিল? এতগুলো শিক্ষার্থী যে প্রত্যাশা নিয়ে এ বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, তাদের ক্যারিয়ারের দায়িত্ব কে নেবে? তাদের পাঠ্যক্রমে ইইই ও সিএসই এর শতকরা ৯০ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত করার পরও তারা সমমান পদগুলোতে চাকরির আবেদন করতে পারছেন না। দাবি না মানা হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসিই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসিই বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। প্রতিবছর এ বিভাগে পরীক্ষার মাধ্যমে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এখন পর্যন্ত চারটি ব্যাচ এই বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করছে, আরো পাঁচটি চলমান। বিভাগের বয়স নয় বছর হয়ে গেলেও সরকারি চাকরির বিভিন্ন পদে যোগ্যতা ও কারিকুলাম সংশ্লিষ্টতা থাকার পরও আমাদের সুযোগ মিলছে না। কারণ পিএসসি ও ইউজিসিতে বিষয় কোড এবং নিদিষ্ট কোন সেক্টরে বিভাগটির অন্তর্ভুক্তি নেই।”
তিনি বলেন, “অন্যান্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো বিসিএসে আবেদন করতে পারলেও আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারেনি, যা এক ধরনের বৈষম্য। এ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যাতে অন্যান্য বিভাগের মতো আমাদেরও সবক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।”
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংবাদ বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসিই বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে চারটি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করলেও, সরকারি চাকরির অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ইসিই বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পরবর্তীতে তা সরিয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, কুয়েটের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) এবং রুয়েটের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম নিয়মিতই সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
তারা আরও বলেন, বিভাগীয় প্রধান থেকে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠালেও তাতে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার, পাওয়ার ও কমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে ইসিই বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; তাদের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সমমান স্বীকৃতি দিতে হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী