ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

গণ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের পদত্যাগ নিয়ে ‘ধুম্রজাল’

গবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪  
গণ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের পদত্যাগ নিয়ে ‘ধুম্রজাল’

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. পারভেজ আহমেদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়াকে নিয়ে  ‘ধুম্রজাল’ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ না মেনে তাকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের বিরোধিতা করেন। 

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইন বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অবমাননাকর অভিযোগ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতিকে পদে বহাল ও অপপ্রচার বন্ধ না হলে বিভাগের সব শ্রেণি ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এ সম্পর্কে আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, “আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে স্বপদে বহাল রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। তাদের প্রতি আস্থা রেখেই বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাহার করেছি। তবে যদি প্রশাসন প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে, সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামবে।”

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. পারভেজ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “পদত্যাগপত্র প্রশাসনের নিকট জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমি কোন মন্তব্য করছি না। আইন বিভাগে যে ইতিবাচক কাজ করেছি, সেগুলো পছন্দ করেই শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে আমাকে স্বপদে রাখার জন্য চেষ্টা করছে। যেহেতু পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, বাকী সিদ্ধান্ত প্রশাসন নেবে।”

এ বিষয়ে গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দুটি আবেদনপত্র পেয়েছি। ড. পারভেজ আহমেদ গত ৭ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দিলেও আমি তা গ্রহণ করিনি। আমি তার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছি। অমি তার পদে বহাল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।” 

তিনি বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে ড. পারভেজের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে, তা দুঃখজনক। এর জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে এবং ফেইক আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়েই আইন বিভাগের কিছু শিক্ষককে কেন্দ্র করে একটি চক্র অযাচিত পোস্ট করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিকট দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করে দুইটি আবেদনপত্র জমা দেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়