ঢাকা     বুধবার   ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৮ ১৪৩১

জুলাই হামলাকারীদের বিচার দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪  
জুলাই হামলাকারীদের বিচার দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার ও অবিলম্বে জাকসু কার্যকরের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান।

ররিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। 

জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “জুলাই গণঅভ্যূত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে হামলা করা হয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার বা বিচার এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত সেপ্টেম্বর মাসে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।”

তিনি বলেন, “কমিটির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি কোন রিপোর্ট দিতে পারেনি। এমনকি মামলা গ্রহণের কোনো প্রস্তুতিও নিতে পারেনি। আমি এ ব্যাপারে হতাশ। এ কারণেই দুই দফা দাবিতে অনশনে বসেছি।”

তিনি আরও বলেন, “গত ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার কার্য নিয়ে আন্দোলনে সরব হওয়ায় আমাকে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এক মুখোশধারী পালিয়ে যায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা একটি জিডি করে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন শনাক্ত করা বা আটকের ব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

জুলাই বিপ্লবী বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা আজ হুমকির পথে। আমাদের জীবন হুমকির মুখে। যেকোন সময় আমাদের উপর আঘাত আসতে পারে। তাই আমার দাবি হচ্ছে, আজকের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি নিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলা করার জন্য একটা কমিটি গঠন করবেন। এর লিখিত আশ্বাস দিলেই আমি অনশন থেকে সরে দাঁড়াবো।”

অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের নয় দফার সাত নম্বর দফা ছিল, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত জাকসু কার্যকর করতে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। তারা দফায় দফায় মিটিং করেছে, আশ্বাস দিয়েছে। আমার দাবি, আজকের মধ্যেই জাকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন রোডম্যাপ প্রকাশ করবে এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদ উপস্থিত হয়ে অনশনকারীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রথম দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির কাছ থেকে আমরা জেনেছি, আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত এবং ২১ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। উপাচার্য মহোদয় আগামীকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জাকসু নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়