অনশনে অসুস্থ জাবি শিক্ষার্থী
জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নসহ তিন দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) টানা ২৩ ঘণ্টা ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আইন অনুষদের তিন শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মালিহা হাসান মাইশা ও একই ব্যাচের রফা রওনাক এবং ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান।
তাদের দাবিগুলো হলো- আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে 'এফ' ইউনিটে নিতে হবে, স্বতন্ত্র একাডেমিক ভবন বরাদ্দ দিতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র একাডেমিক ভবন, পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমাদের নিয়ে আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।
এদিকে অনশন চলাকালে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রাফা রওনাক। তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইফতেখার আকিব বলেন, “আইন অনুষদের তিন দফা দাবি নিয়ে গতকাল থেকে শুরু হওয়া আমরণ অনশনের ফলে আজ ৪৯তম আবর্তনের রফা রওনাক আপুর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। বর্তমানে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দাবিগুলো নিয়ে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে তালবাহানা করছে। আমাদেরকে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মৌখিক আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট নই। এর আগেও এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না আমরা লিখিত আশ্বাস পাচ্ছি. ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের তিন দফা দাবির মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় দাবি নিয়ে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন সদুত্তর না দেওয়ায় অনশন কর্মসূচি চলমান। দাবি না মানলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরুর আগে আমরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগের কোনো প্রশাসনই আইন ও বিচার বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, কিন্তু আমরা দেখছি। আশা করি আজকের সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী